বুধবার, ০৮ জুন ২০১৬

সরকারের প্রশ্রয়েই দেশে অরাজকতা চলছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, অবৈধ সরকারের অপশাসনে দেশে ইতিহাসের ক্রান্তিকাল চলছে। সার্বিক অরাজকতায় দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারের অস্বাভাবিক নিস্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাই প্রমাণ করে যে, সরকারের প্রশ্রয়েই দেশে অরাজকতা চলছে।

তিনি আজ ছাত্রশিবির পাবনা শহর, পূর্ব ও পশ্চিম জেলা আয়োজিত সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পাবনা শহর শাখা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

শিবির সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, দেশে পরিকল্পিতভাবে গুম, খুন ও টার্গেট কিলিং চলছে। দিনে দিনে তা আরও ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করছে। সরকারের সরাসরি নির্দেশে পুলিশ নিরপরাধ ছাত্রদের টার্গেট করে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করে নানা রকম নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছে। এমনকি সরকারের পরিকল্পিত গুম খুন থেকে রক্ষা পায়নি দলীয় লোকজনও। যার বড় উদাহরণ নারায়নগঞ্জে ৭ খুনের সাথে সরকার দলীয় লোক ও র‌্যাব এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ। সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে সরকারী নীতিহীনতার কারণে রক্ত গঙ্গা বয়ে গেছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগসহ দলীয় সন্ত্রাসীদের হত্যা সন্ত্রাস নিত্যদিনের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তার উপর সংখ্যালঘু ও বিশেষ ব্যক্তিদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। যার একটিরও সুষ্ঠ তদন্ত বা বিচার এ পর্যন্ত হয়নি। প্রতিটি নৃশংস খুনের পর সরকার ও পুলিশ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার ও নিরপরাধ মানুষের উপর দোষ চাপিয়েছে। ফলে আসল অপরাধীরা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বার বার। যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামান্য কটুক্তি করলে অল্প সময়ের ব্যবধানে গ্রেপ্তার করা হয় সেখানে এমন নৃশংস খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা বিশ্বাস যোগ্য নয়। সরকার কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশে নানা ভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে কিনা, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের সকল অপকর্মের ফল ভোগ করছে দেশের সাধারণ জনগণ। প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ আজ তাদের জান-মাল নিয়ে শঙ্কিত। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটা কোন ভাবেই সভ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা হতে পারেনা।

তিনি সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের গণভিত্তি থাকেনা তাদের ভিত্তি হলো ষড়যন্ত্র, নিপীড়ণ ও অপশাসন। যা বাংলাদেশে চলছে। সুতরাং ছাত্রশিবিরের সদস্যদের এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা, সাহসিকতা, ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। বর্তমানে রমজান মাস চলছে। এ মাসকে ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। প্রতিটি ছাত্র-জনতার কাছে আদর্শহীনদের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা ও কুরআনের আলোকে রাষ্ট্র গঠনের সুফলতা সম্পর্কে জানাতে হবে। কুরআনের সাথে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।