শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০১৬

গ্রেপ্তারের পর গুম রেখে রাতের আঁধারে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই শিবির নেতার পায়ে গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

যশোরে অন্যায়ভাবে দুই শিবির নেতা ইসরাফিল হোসেন ও রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কর্তৃক রাতের আঁধারে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের পায়ে গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গত ৩ আগষ্ট বুধবার রাতে তাদের আটক করে পুলিশ। ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা চৌগাছা থানায় গিয়ে হাজতখানায় ইসরাফিল ও রুহুল আমিনের সাথে দেখা করেন। এসময় তারা দু’জনকে সকালের নাস্তাও কিনে দেন। দুপুরের দিকে পুলিশ একটি গাড়িতে করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। জানতে চাইলে পুলিশ বলে, তাদেরকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যশোর আদালতের তাদের দুইজনকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তারা নীরব থাকেন। রাতে পরিবারকে জানানো হয় যে তাদের সন্তানরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অথচ পুলিশ বলছে যে তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এই দানবীয় বর্বরতা ও মিথ্যাচারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এই ধারাবাহিক নৃশংসতায় সন্ত্রাস আর পুলিশের কর্মকান্ডের মধ্যে কোন পার্থক্য করতে পারছেনা জনগণ। তাদের বেআইনি বিমাতাসুলভ আচরণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল অবস্থানকে বার বার কলঙ্কিত করছে। আমরা দুই শিবির নেতাকে অন্যায়ভাবে গুলির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মী এই দেশেরই সন্তান। তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়ার অধিকার আইন, সংবিধান বা জনগণ কেউ’ই কোন বাহিনীকে দেয়নি। পুলিশ যদি কোন বিশেষ গোষ্ঠির ইশারায় নিজেদেরকে জনগণের প্রতিপক্ষের কাতারে দাঁড় করায় তবে তার পরিণাম শুভ হবে না। আইনের পবিত্র লেবাস ধারণ করে ঘাতকের ভূমিকা অব্যাহত রাখলে ছাত্রজনতার নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং শিবির নেতা ইসরাফিল ও রুহুল আমিনকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট