বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

শিবির সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া, মানুষের সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে ছাত্রশিবিরের। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শত প্রতিকূলতাকে মাড়িয়ে শিবির তার লক্ষ্য পানে এগিয়ে চলছে। আগামী দিনেও শিবির সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের কার্যকরী পরিষদের ২০১৭ সেশনের ১ম সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তাসনিম আলম, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, আবদুল জব্বার ও আতিকুর রহমান। এসময় কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নব নির্বাচিত ও মনোনিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, জাতির এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ছাত্রশিবিরের পথচলা শুরু হয়েছিল। এ দীর্ঘ পথচলার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অকালে ঝরে গেছে হাজারো সম্ভাবনা। কিন্তু ছাত্রশিবিরের এই ত্যাগ বৃথা যায়নি। শত প্রতিকূলতা মাড়িয়ে ছাত্রশিবির জাতির সামনে নিজেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দূর্জয় কাফেলা হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রতিটি অর্জনে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে ছাত্রশিবির গঠনমুলক ভূমিকা রেখেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, আর্তমানবতার সেবা ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের জনগণের আস্থার স্থান অর্জন করেছে। ছাত্রশিবিরের এই সুদীর্ঘ পথ চলায় লাখো ছাত্র-জনতাকে ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে সমাবেত করতে সক্ষম হয়েছে। তারা আজ সমৃদ্ধ দেশ গঠনের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জাতির প্রত্যাশা পূরণে ছাত্রশিবির তার ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে যাবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ ও অসৎ ব্যক্তিদের দ্বারা। দেশের সর্বক্ষেত্রে মেধাবীদের তুলনায় দলীয় লোকজনকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ভুলেভরা বই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে নতুন বছরে যাত্রা শুরু করেছে সরকার। এর আগেও সরকারী কর্মকর্তা ও দলীয় লোক কর্তৃক প্রশ্নপত্র ফাঁস, দলীয় নিয়োগ, খোলা বাজারে প্রশ্ন বিক্রি, নিয়োগ বানিজ্য ও দূর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার ভীত নাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের তান্ডব, মাদক, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী ও ভিন্ন মতের ছাত্রদেরকে বিতাড়ন অব্যাহত আছে।

তিনি আরও বলেন, সার্বিক ক্ষেত্রে একের পর এক অপকর্ম দেখে জাতি হতাশ হয়ে পড়েছে। এভাবে চলাতে থাকলে অচিরেই এদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় আরও বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শের বাণী পৌছে দিতে হবে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও নৈতিকতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতির কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্ব তৈরীর পথে ছাত্রশিবির এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি ছাত্রশিবিরের এই আদর্শিক পথ চলায় ছাত্র-জনতাকে সহযোগীর ভূমিকা পালন করার উদাত্ত আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট