রবিবার, ০৫ মার্চ ২০১৭

ইসলামী মুল্যবোধই পারে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ছাত্রশিবির ঘুণেধরা এই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলামী মুল্যবোধের আলোকে গড়ে তোলা। কারণ শুধুমাত্র ইসলামী মুল্যবোধই পারে দেশ গড়ার কারিগর তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইনের পরিচালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও আতিকুর রহমান। বৈঠকে সকল সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশের ছাত্রসমাজকে পরিকল্পিতভাবে বিপথগামী করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো এখন আর শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্র নয় বরং বিভিন্ন অপকর্মের চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। তরুণ ছাত্রদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধের সাথে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ার সেই সুমহান উদ্দেশ্য আজ অনেকাংশেই ব্যার্থ। অপরদিকে একটি চক্র যুব সমাজেকে ধ্বংসের পায়তারা করছে। ছাত্র ও যুবসমাজকে ইসলাম বিমুখ করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে মাদক আর ভিনদেশি নোংরা সংস্কৃতির সয়লাব। যার ফলে যুবসমাজের একটি বিশাল অংশ আজ চরিত্রহীনতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পরেছে। কিন্তু, ছাত্রশিবির ঘুণেধরা এই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিবির পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলামী মুল্যবোধের আলোকে গড়ে তোলতে চায়। কারণ শুধুমাত্র ইসলামী মুল্যবোধই পারে দেশ গড়ার কারিগর তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে একটি আদর্শ সমাজে গড়তে সুদীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এসব অপকর্ম ও ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রের শুধু বিরোধীতা করলে হবেনা, বরং যার যার অবস্থান থেকে বিরোধীতার সাথে সাথে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে ছাত্রসমাজকে রক্ষায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কুরআনের দাওয়াত ও সংগঠনের প্রসার ঘটাতে হবে। প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরতে হবে। আর এজন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চারিত্রিক মাধুর্যতা দিয়ে ছাত্রসমাজকে কুরআনের পথে আহবান করা।

সংশ্লিষ্ট