শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

নির্বিঘ্নে রোজা পালনের সার্বিক ব্যবস্থা সরকারকেই গ্রহণ করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, এদেশে মুসলিম প্রধান হলেও মাহে রমজানে রোজা পালনের সময় জনগণকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যা কাম্য নয়। অবিলম্বে নির্বিঘ্নে রোজা পালনের সার্বিক ব্যবস্থা সরকারকেই গ্রহন করতে হবে।

তিনি আজ কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির নাঙ্গলকোট সদর শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নাঙ্গলকোট সদরের সভাপতি ইব্রাহীম মুনিরের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন ও জেলা দক্ষিণ সেক্রেটারি জোবায়ের ফয়সাল। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্য আরো উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহীম হাসান, নাঙ্গলকোট উত্তরের সভাপতি বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

শিবির সভাপতি বলেন, প্রতি বছর ত্যাগ ও তিতিক্ষার মহান ব্রত নিয়ে মাহে রমজান আসে। কিন্তু জাতির দূর্ভাগ্য এই মহান পূণ্যময় মাসটিকে এদেশের মুসলমানরা নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে না। সরকারের অবহেলা ও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তির দুর্নীতিতে রোজায় মানুষকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ইতিমধ্যেই ইফতার সামাগ্রীসহ নিত্য পন্য দ্রব্যর দাম লাগামহীন ভাবে বাড়ছে। যা সবাইকে বিশেষ করে সমাজের নিন্ম বিত্ত মানুষের জীবনকে আরও সংকটে ফেলে দিয়েছে। সরকারের মদদে স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল পরিকল্পিত ভাবে দ্রব্য মূল্যর দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলছে। ফলে প্রতি বছরই দেশে মাহে রমজানে মধ্যবিত্ত ও হত দরিদ্র মানুষের করণ চিত্র দেখতে হয়। অন্যদিকে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। যদি রমজানেও এ লোডশেডিং অব্যাহত থাকে তাহলে রোজাদারদের ভাগান্তি বহু গুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছে না জনগণ। যা একটি মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক ও পরিতাপের বিষয়।

তিনি বলেন, সরকারের নীতিহীন সমর্থন না থাকলে গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ী দেশের মানুষকে জিম্মি করে এভাবে ভোগান্তিতে ফেলতে পারত না। পবিত্র রমজানের মত পূণ্যময় মাসেও সরকার ও অসাধু মহলের অমানবিক কর্মকান্ড মেনে নেয়া যায় না। সুতরাং অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় অশ্লীলতা বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। হত দরিদ্র মানুষকে সরকারের উদ্যোগে সহযোগিতা করতে হবে। ইসলাম বিরোধী সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। মাহে রমজান যেন জনগণ নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে তার সার্বিক ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে আত্মশুদ্ধি ও প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এ মাসটির আগমন মুমিন-মুসলমানের জীবনে অধিক পরিমাণ সংযম ও ভালো কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সামর্থ অনুযায়ী সবাইকে সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের বিত্তশালীদের দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। শত প্রতিকূলতা সত্তেও ছাত্রশিবির প্রতি বছর সামর্থ অনুযায়ী সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে যার যার অবস্থান থেকে সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সহায়তার জন্য উদ্ভুদ্ধ করে। ছাত্রশিবিরের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট