রবিবার, ২৮ মে ২০১৭

মূর্তি ইস্যুতে সরকার মুসলমানদের ধোকা দিয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, অবৈধ সরকারের ইসলাম বিরোধী কুৎসিত রুপ আরেক বার জাতির সামনে প্রকাশ হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক মূর্তি স্থাপন ইস্যুতে সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধোকা দিয়েছে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। এসময় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে সরকার জাতিকে চরম ধোকা উপহার দিয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রীক মূর্তিটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ঈমান ও চেতনা বিরোধী। ইসলাম প্রিয় জনতার তীব্র আপত্তির মুখে সম্প্রতি যখন মূর্তিটির অপসারন করা হয় তখন জাতি ভেবেছিল সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। কিন্তু তা ছিল চরম প্রতারণা। যা সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনে মূর্তিটির পুন:স্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। এই জালিয়াতির মাধ্যমে সরকার দেশের মুসলমানদের ঈমান আকিদা নিয়ে তামাশা করেছে। যা জনগণকে আরও বিক্ষুদ্ধ করে তুলেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মূর্তি কখনোই এদেশের মুসলমানদের সংস্কৃতির অংশ ছিল না। সুতরাং জোর করে এ মূর্তি সংস্কৃতি মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলে তা বুমেরাং হবে। তাই অবিলম্বে প্রতারণা বন্ধ করে মূর্তিটি চূড়ান্ত ভাবে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় জনগণের সাথে এই প্রতারণার ফল ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

তিনি বলেন, মুখে মুখে সরকারের লোকজন ইসলামের পক্ষে কথা বললেও ইসলাম বিদ্ধেষ তাদের মজ্জাগত। রমজানেও নিরপরাধ মুসলমানদের উপর তাদের জুলুম নির্যাতন থেমে নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরপরাধ ছাত্রজনতাকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত দুইদিনে চাপাইনবাবগঞ্জ ও ভোলার বোরহানউদ্দিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের স্বাগত র‌্যালী থেকে ছাত্রজনতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটক রাখা হচ্ছে দেশের শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দকে। আমরা সরকারের প্রতি আহবান রেখে বলতে চাই, ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য শুধু দেশের মানুষের কাছে নয় বরং সারা বিশ্বে ইসলাম বিদ্ধেষী হিসেবে আপনারা বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু বার বার মুসলমানদের ঈমান আকিদায় আঘাত হানতে থাকলে ক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঘটতে সময় লাগবে না। গুটি কয়েক নাস্তিক্যবাদীদের কাছে আপনারা মাথা নত করলেও জনগণের কাছে তারা ধিকৃত ও প্রত্যাখ্যাত। অবিলম্বে ইসলাম নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। নূন্যতম দায়িত্ববোধ থাকলে এসব অপকর্ম বন্ধ করে মুসলমানদেরকে নির্বিঘেœ রমজান পালনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলে তার সামাল দেয়ার শক্তি কারো থাকবে না।

সংশ্লিষ্ট