বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূল সা.এর আদর্শের বিকল্প নেই

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্যই রাসূল সা: কে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও পেশা নির্বিশেষে সবার জন্যই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ। আজও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শের বিকল্প নেই।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উওর আয়োজিত সিরাতুন্নবী সা. উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি জামিল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও অফিস সম্পাদক তালহা যোবাইয়ের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী বায়তুলমাল সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমানসহ মহানগরী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

শিবির সেক্রেটারি বলেন, বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূল সা. এর মত উদাহরণ আর নেই। তিনি ছিলেন সকল মানুষের জন্য ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক। মানবজাতির জন্য সর্ব কালের সর্বোত্তম অনুসরণীয় আদর্শ। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রাসূল সা. এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (সূরা আহযাব, আয়াত-২১। তিনি তার মহানুভবতা, সহনশীলতা, অধ্যবসায়, দৃঢ়তা, ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে আল কুরআনের আদর্শ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেছেন। আর এই জন্য তাকে অবর্ণনীয় জুুলুম-নির্যাতনও ভোগ করতে হয়েছে। ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতিত ও রক্তাক্ত হতে হয়েছিল। মূলত রাসুল (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার ও তমসার বিপরীতে সত্য এবং ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। সমাজে অবহেলিত-নির্যাতিত, সুবিধা বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, মানবতাবোধ, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া, নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স)-এর আদর্শ অতুলনীয় ও অদ্বিতীয়। সে জন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুহাম্মদ! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি দুনিয়াবাসীর রহমত স্বরুপ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)।

তিনি বলেন, রাসূল সা. আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণেই বিশ্বে বিশেষ করে মুসলিম ওম্মাহ আজ নির্যাতিত নিপিড়িত। মানব সভ্যতা ও মূল্যবোধ এখন খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। সমাজের সকল স্তরেই এখন অবক্ষয়ের প্রলয় চলছে। নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে কুলুষিত করে ফেলেছে। চারদিকে অধিকার বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের আহাজারী প্রবল হয়ে উঠেছে। কিন্তু ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জীবনের সার্বিক ক্ষেত্রে কল্যাণ ও শান্তি ছড়িয়ে দিতে রাসূল সা. এর আদর্শের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের কোন বিকল্প নেই।

শিবির সেক্রেটারি বলেন, মুসলিম বিশ্বসহ বিশ্ব সভ্যতা থেকে সকল অবিচার অনাচার বন্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব এখন রাসূল সা. এর উম্মত তথা মুসলমানদের উপরই। আজকের প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের ক্রান্তিকালে চরম ধৈর্য্য, সহনশীলতা, নিষ্ঠা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার সাথে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ইস্পাত কঠিন অবস্থান গ্রহণ করার আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট