শুক্রবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কুয়েট থেকে অন্যায় ভাবে ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, পুলিশের বানোয়াট বক্তব্য ও নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিসহ ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, তাদেরকে জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্য এবং অস্ত্র উদ্ধার নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, জনগনের নিরাপত্তা নয় বরং নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও কল্পকাহিনী রটনা করে বিরোধী মতের ছাত্রদের জীবন ধ্বংস করাকেই পুলিশ তাদের প্রধান কাজ হিসেবে নিয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারী কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য ও বানোয়াট অস্ত্র উদ্ধার নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে নাশকতার পরিকল্পনা কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে চাইনিজ কুড়াল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বহীন মনোভাবের বিকৃত আবিস্কার। আসল ঘটনা হলো ৩০শে জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টা সময় ক্লাসে থাকা অবস্থায় ছাত্রশিবির কুয়েট শাখা সেক্রেটারিসহ দুইজনকে শিক্ষকের সামনে থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ধরে নিয়ে যায়। এসময় তাদের কুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ তাদের সাথে নিয়ে মেসে গিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের অস্ত্র মামলাসহ দুটি মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। যা পুলিশের ঘৃন্য কর্মের নিকৃষ্টা উদাহরণ। প্রকাশ্য দিবালোকে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের সামনে থেকে ধরে নেয়া ছাত্রদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কি হতে পারে? পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও হামলাকারীদের নির্দেশ পালন পুলিশের নির্লজ্জ কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছে। অস্ত্রের সাথে শিবির নেতাকর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। আইনের লেবাসে পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘৃন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করার ভাষা আমাদের জানা নাই। এই ভারসাম্যহীন মিথ্যাচার ও নাটকে প্রমাণ হয় একটি গুষ্টিকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের পথ করে দিতেই শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেপরোয়া ছাত্রলীগ পুলিশ ও প্রশাসনের অনৈতিক সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে ভিন্ন মতের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন, হামলা, নির্যাতন করে যাচ্ছে। বহু ছাত্রনেতা ও সাধারণ ছাত্রকে নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। হল গুলোতে নির্বিচারে লুটপাট করছে ছাত্রদের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। পুলিশ নির্যাতনকারী লুটপাটকারী খুনি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো তাদের প্রশ্রয় দিয়ে সহযোগির ভূমিকা পালন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর পেশাটাকেই বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করছে। জনগণের প্রতি পুলিশের ওয়াদা বা নিজ দায়িত্বের প্রতি সামান্যতম দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম থাকলে পুলিশ কর্মকর্তা এই জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারতেন না। কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

ওবায়েদুল্লাহ সরকার
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রাশিবির

সংশ্লিষ্ট