শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাজধানীসহ সারাদেশে শিবির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাজধানীসহ সারাদেশে শিবির নেতাকর্মীদেরকে গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, দেশের গনতন্ত্র রক্ষা ও অবিচারের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। যা গত কয়েকদিন যাবত চলছে। আজ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্রশিবিরের ১১ জন নেতাকর্মীসহ গত তিন দিনে সারাদেশে ২৮০জন নেতাকর্মীকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীতে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৮জনকে থানায় রাখলেও বাকীরা কোথায় আছে তা এখনো জানা যায়নি। পরিকল্পিত ভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রুপ প্রকাশ করছে। তারা একদিকে প্রশ্নফাঁস করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে অন্যদিকে নির্বিচারে মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে শিক্ষা জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নয় সাধারণ মানুষও এই গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই আইনের তোয়াক্কা না করে নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন নিপিড়ণ চালাচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তার হওয়া অনেক নেতাকর্মীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পিতাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জনগণের প্রতিবাদ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ যে আজ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে তা তাদের কর্মকান্ডেই পরিস্কার হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই স্বৈরাচারি আচরণ বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সন্ধান ও মুক্তি দিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ গণগ্রেপ্তার ও গনহয়রানি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংশ্লিষ্ট