শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

মুহাম্মদ রুহুল আমিন

শহীদ আমিনুর রহমান : সেতো জান্নাতের সবুজ পাখি

শাহাদাত এর উপর যখনই লিখতে গিয়েছি তখনই কলম অক্ষমতা প্রকাশ করেছে, আবেগ আমার জ্ঞান বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে অবশ করেছে। ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বের কারণে বারবার আমাকে শাহাদাতের মিছিলে যেতে হয়েছে। হায়নাদের গুলির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত,শহীদের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি বারবার। শহীদের পরিবারের মাতা-পিতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠিদের বিলাপ ও রোনাজারিতে সান্তনা দিতে গিয়ে বেসামাল হয়েছি, বহুবার তাদের অশ্রু মুছতে গিয়ে নিজেই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েছি।

যেদিন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম সে দিন জেনেছিলাম এ পথের শেষ গন্তব্য শাহাদাত, যা জান্নাতের সোজা রাজপথ। আর সেই পথের যাত্রী হলেন প্রিয় ভাই শহীদ আমিনুর রহমান। সত্যিই আজও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে আমিনুর ভাই নেই।

আমার সাথে প্রথম পরিচয় শ্যামনগর সরকারী কলেজে, আমি তখন শ্যামনগর উপজেলা সভাপতি আর আমিনুর ভাই কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন সভাপতি। প্রথম সাক্ষাতে যে আপন হয়েগিয়েছিল জীবনের শেষ পর্যন্ত তা আর ভোলার নয়। আমি দেখেছি সংগঠনের প্রতি তার ভালোবাসা আর আনুগত্য। আমিনুর ভাই আমাকে বলেছিল ভাই আমার কালিগঞ্জ অনেক পথ যেতে কষ্ট হয়, আমাকে শ্যামনগর শাখায় নিন, আমি তৎকালীন থানা সভাপতি আব্দুর রব ভাইয়ের সাথে কথা বলে তাকে আমাদের শাখায় নিতে চাইলে তিনি রাজি হননি, এ খবর জানার পর আমিনুর ভাই আর কোন কথা না বলে আনুগত্যের যে পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিলেন সত্যি তা অনুসরণীয়।

এরপর সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমিনুর ভাইয়ের দায়িত্ব আসলো আশাশুনি উপজেলায়, আমি তখন জেলা অফিস সম্পাদক আমিনুর ভাইকে আমি কালিগঞ্জ থেকে মটর সাইকেলে করে আশাশুনি নিয়ে গিয়েছিলাম, সেদিন দেখেছিলাম আমিনুর ভাইয়ের অশ্রুসিক্ত দু-নয়ন অঝোরে পানি ঝরেছিলো কিন্তু তার জীবনের চেয়ে বেশি প্রিয় এ কাফেলার আনুগত্য করতে দেরি করেননি জান্নাতের এই ফুটন্ত গোলাপটি। কতো কথা কতো স্মৃৃতি যা লেখার ভাষা হারিয়ে আজ আবেগ আপ্লুত হয়ে বার বার শুধু মনে হচ্ছে, মাবুদের নৈকট্য হাসিল করা ও তারই দিদারের রোমাঞ্চকর মোহনায় মিলিত হওয়ার যত পথ রয়েছে শাহাদাতের খুনে রঞ্জিতপথ তার মধ্যে সবচেয়ে প্রশস্ত ও সংক্ষিপ্ত। ভাই তুমি গোপনে মহান প্রভু কে কতো বেশি সেজদা দিয়ে খুশি করেছো যে আজ আমাদের রেখে চলে গেলে জান্নাতের ওপারে সুন্দর ভূবনে।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত: নবী করীম সা. বলেছেন: শহীদ ব্যক্তি নিহত হওয়ার উদাহরণ হলো তোমাদের মধ্যে কেউ সামান্য একটু চিমটি কাটার মত স্পর্শ অনুভব করে মাত্র। (তিরমিযি)

২৭ এপ্রিল ২০১৪ আমি তখন কেন্দ্রের দশ দিনের শিক্ষা শিবিরে ঢাকাতে, শিক্ষা শিবিরের নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল বন্ধ রেখে প্রোগ্রামে বসে আছি, হঠাৎ অফিস থেকে এক জন লোক এসে আমাকে বললেন সেক্রেটারী জেনারেল আপনাকে ডাকছে, রুমে ঢুকতেই ভাই বললেন সাতক্ষীরার খবর নেন তো কী হয়েছে, জেলা সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে খবর শুনে মনে হলো আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়েছে, ভাই হারানোর বেদনা যে কত কঠিন তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়, অশ্রুসিক্ত নয়নে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার জীবনে এমন নামাজ আর পড়তে পারিনি। এরপর আমিনুর ভাইয়ের কফিন নেওয়া, এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করা, হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ভাইদের চিকিৎসা, রক্তের ব্যবস্থা করা, এভাবে কাটতে থাকলো বেদনাবিধুর মুহূর্তগুলি।

বাংলার আকাশে-বাতাসে আজ লাশ আর বারুদের গন্ধ। রাস্তা-ঘাট, বনে-জঙ্গলে, ডোবা-নালায়, নদীতে প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাখলুকাতের মৃতদেহ। রাতের অন্ধকারে বন্দুকের একটি আওয়াজ মানেই অজানা এক আতঙ্ক। না জানি ক্রসফায়ারের নামে ঝরে পড়লো কোন তাজা প্রাণ? আজীবনের জন্য নিভে গেল কোন উজ্জ্বল প্রদীপ! এটি কোন সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায়না। এ যেন কোন মায়ের নাড়ীছেঁড়া সন্তানের বুকে গুলি, সন্তানেরা পৃথিবীতে বাবা বলে আর কাউকে ডাকতে না পারার পরিসমাপ্তি। সেই অত্যাচারী শাসকের জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ মুখর আন্দোলনে আমিনুর ভাইয়ের ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়, তাই জালিমরা তাকে সহ্য করতে পারেনি। আর তাই ওরা ইতিহাসের পাতা থেকে আমিনুর নামটি মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু ওরা জানে না আমিনুর রহমানের মতো লক্ষ-কোটি তরুণ ইসলামী আন্দোলনে আমিনুরের উত্তরসুরী।

সুতরাং যতদিন এই বাংলার জমিনে ইসলামী আন্দোলন থাকবে, ততদিন আমিনুর রহমান নামটি অবিনশ্বর। ওরা আমিনুর রহমান ভাইকে কিছুই করতে পারেনি মা। ওরা ওদের সকল শক্তি যুক্ত করে বড় জোর আমিনুর রহমান ভাইয়ের নামের পূর্বে একটি বিশেষণ লাগাতে পেরেছে এর বেশি কিছু নয়। আর তা হচ্ছে শহীদ আমিনুর রহমান। কিন্তু আজ শহীদ আমিনুর রহমান হয়ে উঠেছে সেই আমিনুর রহমানের তুলনায় বহুগুণে শক্তিশালী,আরওবেশি প্রেরণার............

আল্লাহ যাকে সম্মান দেন তাঁর সম্মান কেউ কেঁড়ে নিতে পারে না।
শহীদের ধমনীতে ধারণ করে রয়েছে বিশুদ্ধ রক্ত, কোন মরণাপন্ন রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে হলে প্রয়োজন বিশুদ্ধ খুন। আজকের সম্বিত হারা মুসলিম জাতিকে বাঁচাতে প্রয়োজন শাহাদাতের তপ্ত খুন। যেদিন শহীদদের পিতা মাতার আহাজারী, ভাই বোনের বিলাপ, সাথীদের আর্তনাদ আল্লাহর আরশে মাতম তুলবে সেদিনই রচিত হবে আর একটি নতুন পৃথিবীর ভিত্তি প্রস্তর। আর সেই নতুন পৃথিবীর ভিত্তি প্রস্তর ফাউন্ডেশনে প্রবাহিত হয়েছে শহীদ আমিনুর রহমান ভাইয়ের রক্ত। তাই তো শহীদেরা পথহারা মুসাফিরের জন্য দিশার ধ্রুবতারা। মাতৃভূমির জন্যে জীবনদানকারী সৈন্যদের উদ্দেশ্য কবি Binyon যেমন বলেছেন: As the star`s that are starry in the time of our darkness, to the end. To the end they remain.

ঘুমন্ত একটি জনপদ, অবচেতন একটি মানবগোষ্ঠীকে জাগাবার জন্যে শাহাদাত চেতনার বিস্ফোরণ, ইস্রাফিলের বজ্র নিনাদ, এক প্রচন্ড ভূমিকম্প, যা লন্ড ভন্ড করে দেয় সব কিছু। শত শত শিক্ষাশিবির, বিশ্ববরেণ্য আলোচকদের হাজার আলোচনার চেয়ে শাহাদাত বেশি ভারী ও আবেগ সৃষ্টিকারী। শহীদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটা চেতনার সঞ্জীবনী। কোন অত্যাচার, হুমকি, ভয় ও প্রাচুর্য, লোভলালসা দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা যায় না। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের রক্ত গড়ে তোলে হিমালয় পাহাড়। শহীদ আমিনুর রহমান ভাই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আমি দেখেছি, শহীদ আমিনুর রহমান ভাইকে আন্দোলনের কাজের কষ্টের সাগর হাসি মুখে পাড়ি দিতে। জুলুমবাজ সরকার যখন ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান,সাড়াশি অভিযান, দেখা মাত্র গুলি করার ঘোষণা দিলো তখন কিছু দিন আমিনুর রহমান ভাই আর আমি রাতের বেলা একই এলাকায় থাকতাম, আহ প্রচন্ড শীতে নিজের চাদর সাথিদের দিয়ে কত কষ্টে রাতের পর রাত কাটিয়েছে, সেই সময়গুলি আমাদের জন্য ছিলো এক অন্য রকম বেদনা বিধুর, একদিন রাত বারটার পর হঠাৎ আমার মোবাইল বেজে উঠলো রিসিভ করে শুনি আমার এক জন দায়িত্বশীল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছে ভাই আমার জন্য দোয়া করবেন,আমি বললাম কি হয়েছে এত রাত্রে কাঁদছেন? আমাকে বললেন,ভাই অনেক দিন ধরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি রাতের বেলা থাকতাম, কিন্তু পুলিশের ভয়ে আজ কেউ জায়গা দিলো না, তাই বাড়িতে শুয়েছিলাম কিন্তু সেটাও হলো না। আমার জন্মদাতা পিতা-মাতা আমার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলেছে বাবা তুই অন্য কোথাও যেয়ে থাক নইলে বাড়িতে পুলিশ আসবে। তাই কোথাও জায়গা না পেয়ে নির্জন মাঠে গাছের নিচে বসে রাত কাটাচ্ছি। ভাই আমাদের কী অপরাধ? জেলা সভাপতি হিসাবে সেদিন আমি কোন উত্তর দিতে পারেনি শুধু বলেছিলাম আমাদের অপরাধ একটাই যে আমরা মানুষদের কে আল্লাহর পথে ডাকি।

যে খুন জীবন্ত হয়ে কথা বলে সৃষ্টি করে বিপ্লবের আগুন, প্রতিটি খুন শত্রুদের জন্যে তৈরি করে মরণঘাটি। সে রক্ত বৃথা যায় না, যে খুন অপরাধ সমূহ ধৌত করে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। তাইতো শহীদ আব্দুল মালেক ভাই সিন্ধান্ত নিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বের সমস্ত শক্তি আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধানকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা মুসলমান যুবকেরা বেঁচে থাকতে তা হতে পারে না। হয় সত্যের প্রতিষ্ঠা করব নচেৎ এ প্রচেষ্টায় আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে।

অসংখ্য শহীদের মায়েরা তাদের প্রিয় সন্তান হারিয়ে পাগলপারা। তাই ’মা’ এজাতি আজ তোমাদের কথা দিচ্ছে, ‘শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিজয় আসবেই। তোমরা আর কেঁদোনা মা। আল্লাহ বলেন- আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না। এইধরনের লোকেরা আসলে জীবিত কিন্তু তোমারাতা বুঝতে পারো না।(২:১৫৪) আল্লাহ আরো বলেন - যারা আল্লাহর পথে হিজরত করেছে তার পর নিহত হয়েছে বা মারা গেছে, আল্লাহ তাদেরকে উত্তম রিজিক দিবেন এবং নিশ্চয়ই আল্লাহই সবচেয়ে ভালো রিজিকদাতা। (২২:৫৮) আল্লাহ বলেন-যারা আল্লাহর ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারাই তাদের রবের কাছে সিদ্দীক ও ‘শহীদ’ বলে গণ্য। তাদের জন্য পুরস্কার ও ‘নূর’ রয়েছে। আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতকে অস্বীকার করেছে তারাই দোযখের বাসিন্দা। (৫৭:১৯)

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (মুতার যুদ্ধে সেনা দল পাঠানোর পর এক দিন) রাসূলুলাহ সা. খুতবা দিতে গিয়ে বললেন, যায়েদ পতাকা ধারণ করল অতঃপর শাহাদাত বরণ করল। তার পর জাফর পতাকা ধারণ করল সেও শহীদ হলো। অতঃপর আব্দুলাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধারণ করল কিন্তু সেও শাহাদাত বরণ করলো। তারপর খালিদ বিন ওয়ালিদকে নেতা মনোনীত করা ছাড়াই সে পতাকা ধারণ করল। এতে বিজয় লাভ করলো। নবী সা. আরো বললেন, তারা শাহাদাতের মর্যাদা লাভ না করে আমাদের মাঝে থাকলে তা আমাদের জন্য এখনকার চেয়ে আনন্দদায়ক হতো না। বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (সা.) এ কথাগুলো বলার সময় নবীজীর দুচোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। (বুখারী)

আজ সত্যিই, আল্লাহর দ্বীনের মুজাহিদদের ঈমানী দৃঢ়তা দ্বীনের পথিকদেরকে উৎসাহিত করছে প্রতিনিয়ত। শহীদ সাইয়েদ কুতুব, শহীদ হাসান আল বান্না, শহীদ আব্দুল কাদের আওদা, শহীদ আবদুল কাদের মোল্লা, শহীদ কামারুজ্জামানসহ জাতীয় সাহসী বীরেরা এখন একই কাতারে দন্ডায়মান। শাহাদাতের পূর্বে শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ঐতিহাসিক কথাগুলো আজ মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রেরণা। তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ তায়ালা যাকে শহীদি মৃত্যু দেন সে সৌভাগ্যবান। আমি শহীদি মৃত্যুর অধিকারী হলে তা হবে আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমার প্রতিটি রক্তকণিকা ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করবে ও জালেমের ধ্বংস ডেকে আনবে”।

এমন দৃঢ়চেতনা কেবল আল্লাহর উপর ভরসাকারী ঈমানদারগণই দেখাতে পারেন। শহীদের রক্ত আর মজলুমের চোখের পানি বৃথা যাবেনা। সকল ত্যাগের বিনিময়ে মানবতার মুক্তি আসবেই ইনশায়াল্লাহ। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়- সত্যের তরে দৈত্যের সাথে করে যাও সংগ্রাম/রণ-ক্ষেত্রে মরিলে অমর হইয়া রহিবে নাম।এই আল্লাহর হুকুম ধরায় নিত্য প্রবল রবে/প্রবলেই যুগে যুগে সম্ভব করেছে অসম্ভবে।

হে মুহাইমিন, অত্যাচারী শাসকের জুলুম নিপীড়নের শিকার হয়ে সমগ্র মানবতা আজ তোমার রহমতের প্রত্যাশী। হে আরশে আজিমের মালিক, তোমার রহমতের চাদর দ্বারা সমগ্র মজলুম মানবতাকে ঢেকে দাও। আন্দোলনের এহেন পরিস্থিতিতে সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করার মত তৌফিক দাও। (আমীন)

লেখকঃ কেন্দ্রীয় সহ-স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক