সোমবার, ২১ মে ২০১৮

কোরআনের বিধান ছাড়া প্রত্যাশিত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় -শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, আল কোরআন শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। বরং এ মহাগ্রন্থ পথভ্রষ্ট মানব জাতির পথ নির্দেশনা। মানব কল্যাণের শ্রেষ্ঠ বিধান। কল্যাণময় জীবন গঠনের পাথেয়। কোরআনের বিধান ছাড়া প্রত্যাশিত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার উদ্যোগে সাধারন ছাত্রদের মাঝে কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় মহানগরী সভাপতি জামিল মাহমুদ, সেক্রেটারি, আজিজুল ইসলাম সজিব, বায়তুলমাল সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, অফিস সম্পাদক মাহমুদ মুরাদ, শিক্ষা সম্পাদক আবদুল কাইউমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, সমাজে সবাই শান্তি ও সমৃদ্ধি চায়। কিন্তু ঐশি বিধান ছাড়া প্রকৃত কল্যাণ, শান্তি সমৃদ্ধি সম্ভব নয় যা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমাণিত। আর বিশ্ব সভ্যতায় শান্তি ও সমৃদ্ধ সোনালী সমাজ বিনির্মাণ হয়েছে শুধু কোরআনের বিধানের মাধ্যমেই। মাহে রমজান সেই কোরআন নাজিলের মাস। এই মাস কোরআনের শিক্ষা লাভ ও সমাজে তার বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর দূর্ভাগ্য এই মহা নেয়ামত বর্তমান থাকার পরও মানুষ তা গ্রহণ করেনি। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম দেশও তার কোন প্রতিফলন নেই। উল্টো কোরআন বিরোধী কাজে অবাধ সুযোগ রয়েছে এদেশে। শুধুমাত্র কোরআনের পথে চলার কারণে বিশ্ব নন্দিত ইসলামী ব্যক্তিত্বসহ ছাত্রজনতাকে জীবন দিতে হয়েছে। এখনো কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অনেককে। কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। যার কোন সুষ্ঠ বিচার হচ্ছে না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হলেও কোরআনের বিধানকে অবজ্ঞা করা ও কোরআন বিরোধী কর্মকান্ড অব্যাহত থাকা চরম দূর্ভাগ্যজনক বিষয়।

তিনি সমবেত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন,কোরআন সবসময় আধুনিক এবং সব ক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য। কাজেই কোরআনের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করতে হবে। মানুষের ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব সমস্যার সমাধান একমাত্র কুরআনই দিতে পারে। মানুষ যখন আঁধারে পথ হারায়, অন্যায়-অবিচারে জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে, তখন কোরআন সম্ভাবনার আলো হয়ে জাতিকে নিরাপত্তার শিখরে পৌছে দেয়। তাই সফল জীবন গড়তে কোরআনের আলোকে সার্বিক জীবন পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঘরে ঘরে কোরআন বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে একটি করে কোরআন বিতরণ ও একজনকে কোরআন শিক্ষা দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।