বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

মাহে রমজান ব্যক্তি জীবনকে কোরআনের আলোকে ঢেলে সাজানোর সুবর্ণ সুযোগ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, রমজান মাস আমাদের জন্য বড় নেয়ামত। এই মাস ঐশি বিধানে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাস। মাহে রমজান ব্যক্তি জীবনকে কোরআনের আলোকে ঢেলে সাজানোর সুবর্ণ সুযোগ।

তিনি রাজশাহীর এক মিলনায়তনে মাহে রমজান উপলক্ষে ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগরী শাখার উদ্যোগে সাধারন ছাত্রদের মাঝে কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদ। মহানগরী সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহানগরী সেক্রেটারি তারিক ইমতিয়াজের পরিচালনায় কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহাগনরী সাংগঠনিক সম্পাদ সাব্বির আহমেদ, বায়তুলমাল আহসান হাবিব, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহীল কাফি।

এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার উদ্যোগে সাধারন ছাত্রদের মাঝে কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি লাবিব আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নাবিল আহমেদের পরিচালনায় কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রাজশাহী মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যাপক সিদ্দিক হুসাইন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদ, কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাঈনুল ইসলাম।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, একজন মুসলমানের জন্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার বিধান অনুস্বরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু শয়তান ও মানুষের নানা প্ররোচণা এ পথে চলতে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। মানুষকে বিপদগামী করার নানা মত পথ দুনিয়াতে বিদ্যামান। আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে সঠিক পথে অবিচল রাখার জন্য যতগুলো বিধান দিয়েছেন তার মধ্যে মাহে রমজান অন্যতম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সারা বছর দ্বীনের পথে অবিচল থেকে পথ চলার জন্য রমজানকে প্রশিক্ষণের মাস হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। এ মাসকে আমাদের আরো গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিৎ। এই রমজান মাসকে আমাদের উন্নত চরিত্র গঠনে কাজে লাগাতে হবে। সংযমের শিক্ষা নিয়ে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্টীয় জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। আমরা জীবন চলায় কী ভুল করছি তা পর্যালোচনায় আনার এটাই উত্তম সময়। ভুল শুধরে নিজেকে উন্নত জীবনের অধিকারী হতে সচেষ্ট হতে হবে। রমজানের গুরুত্ব বুঝে রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি সংশোধনমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

তিনি আরো বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসে তাকওয়া অর্জনের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। আল্লাহ ভীতি মানুষকে অনেক পাপ থেকে দূরে রাখতে পারে। কোরআন, হাদীস, ইসলামী সাহিত্য বেশি পড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আমলের মাধ্যমে আমাদেরকে তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। একজন মুসলমান হিসেবে কোরআনের হক আদায় করতে মাহে রমজানের শিক্ষা সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে ছড়িয়ে দিতে ভ’মিকা পালন করতে হবে। রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে জীবন গঠন করতে পারে তার জন্য সার্বিক সহায়তা করতে হবে। জীবনকে ইসলামের আলোকে ঢেলে সাজানোর এ সুযোগকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। রমজানে আমলের পাশাপাশি এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই পরকালে নাজাত পেতে সক্ষম হবো।