সোমবার, ২৫ জুন ২০১৮

দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে মীর জাফরের প্রেতাত্মাদের রুখতে হবে-শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার কলঙ্কিত অধ্যায় পলাশীর ঘটনার শত বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা বিলীন হয়ে যায়নি। মীর জাফরদের প্রেতাত্মারা আবার জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। তাই দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে মীর জাফরের প্রেতাত্মাদের রুখতে হবে।

তিনি আজ খুলনার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী আয়োজিত ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।খুলনা মহানগরী সভাপতি রাকিব মাহমুদের সভাপতিত্বে ও মহানগরী সেক্রেটারি শাহরিয়ার ফয়সালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক নাজমুস সাদাত, মহানগরী অফিস সম্পাদক মোশাররফ আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক সাঈদী হাসান প্রমূখ

শিবির সভাপতি বলেন, জাতি এমন এক সময়ে পলাশী দিবস পালন করছে যখন মীরজাফর-ঘষেটি বেগমের প্রেতাত্মারা জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে পায়ে দলে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। বহু আন্দোলন, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। তারা জনগণকে গোলাম বানাতে চায়। আর এদেশকে বানাতে চায় আধিপত্যবাদের কলোনি। বিনা ভোটের অদ্ভুত এক সরকার গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে জাতি বিভেদ প্রকট করে তুলছে। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে একর পর এক নতজানু নীতি গ্রহণ করছে। দেশ বা জনগণ নয় ক্ষমতার লোভই তাদের কাছে বড়। এ যেন জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফরদের অপকর্মেরই প্রতিচ্ছবি।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস শুধু পলাশীর প্রান্তরে থেমে যায়নি। নির্যাতিত নিপীড়িত জনতা সময়ের ব্যবধানে জেগে উঠেছিল। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলেছিল। ক্ষমতালোভী অপশক্তিকে বিতাড়িত করেছিল। সুতরাং আজকের দখলবাজরাও চিরস্থায়ী নয়। পলাশীর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মীর জাফরী প্রেতাত্মাদের রুখে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গেলে তারাও মুক্তিকামী জনতার রোষানলে পরে পরাজিত হতে বাধ্য হবে। বিশ্বাসঘাতকদের মত ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।