সোমবার, ২৭ আগস্ট ২০১৮

ছাত্রশিবির রংপুর মহানগরীর সাবেক সভাপতিকে গ্রেপ্তার ও জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দিনাজপুর থেকে অন্যায় ভাবে ছাত্রশিবির রংপুর মহানগরীর সাবেক সভাপতি ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য রাজিবুর রহমান পলাশকে গ্রেপ্তার ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, জঙ্গিবাদের মত স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে বার বার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে সরকার। আর তাতে বেআইনি ও অনৈতিক ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে পুলিশ। পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ীতে অবস্থানকালে গত ২৩আগষ্ট কোন কারণ ছাড়াই ৫টি মোটরসাইকেল যোগে সাদা পোষাকে পুলিশ এসে অন্যায় ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তিনি দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। অথচ পুলিশ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাকে মসজিদ থেকে নাশকতার পরিকল্পনা কালে গ্রেপ্তার করেছে বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করেছে। একই উদ্দেশ্যে জঙ্গি মামলায় জড়িয়েছে। তার সাথে ককটেল, রড, বাঁশের লাঠি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বানোয়াট প্রচারণা চালিয়েছে। তার উপর জুলুম নির্যাতন করার জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন কর্মকান্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। জঙ্গিদের সাথে তার কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই উঠে না। ছাত্রশিবিরের সাথে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই তা বিশ্ব ব্যাপী প্রমাণিত হয়েছে। তবুও জঙ্গি ইস্যুকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ভাবে ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকারের ইশারায় এই ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। এর আগেও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সারাদেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে কিছু দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রশিবিরের সাথে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই তা পুলিশ ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা ভালো ভাবেই জানে। তারপরও এই ধরনের নীতিহীন তৎপরতা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দেশবাসী মনে করে। মনে হচ্ছে সরকার জঙ্গিবাদ ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় তাদের অপরাজনীতির ফায়দা হাসিলের জন্য। কিন্তু ছাত্রশিবির সব সময় জঙ্গিবাদের বিপক্ষে এবং নিয়তান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পক্ষে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অবৈধ সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে, মানুষ নিজের বাড়ীতেও শান্তিপূর্ণ ভাবে পবিত্র ঈদও উদযাপন করতে পারছে না। ঈদের সময়ও জুলুমবাজ সরকার জুলুম নির্যাতন বন্ধ রাখেনি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জঙ্গিবাদের মত স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে একের পর এক দায়িত্বহীন ও প্রশ্নবোধক ঘটনার জন্য পুলিশের প্রতি জনগণ এমনিতেই বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ। এর পরও এ ধরণের ঘটনা জনগণকে আরও বিক্ষুদ্ব করবে। আমরা অবিলম্বে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত রাজিবুর রহমান পলাশের মুক্তি দাবী করছি। একই সাথে জঙ্গিবাদকে অপরাজনীতির হাতিয়ার বানানোর ঘৃন্য কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।