সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

দৈনিক যুগান্তরকে ছাত্রশিবিরের উকিল নোটিশ

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২৮-০৯-২০১৮ তারিখের অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনের শেষ পৃষ্ঠার ২য় কলামে ‘ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক’ শীর্ষক মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল হবে না মর্মে পূনরায় প্রতিবেদন প্রকাশ না করলে আইন অনুযায়ী দেওয়ানী ও ফৌজধারী ব্যবস্থা নেয়া হবে একই সাথে মামলার যাবতীয় খরচ যুগান্তর কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে ডাক রেজিস্ট্রিযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, গত ২৮.০৯.২০১৮ তারিখে উল্লেখিত শিরোনামে ছাত্রশিবির সম্পর্কে প্রতিবেদনটি মিথ্যা, অসার, ভিত্তিহীন, বিদ্ধেষপূর্ণ একই সাথে সাংবাদিকতার নীতিমালার সাথেও সাংঘর্ষিক। এ প্রতিবেদন ছাত্রশিবিরের জন্য মানহানিকর। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর অভিযোগ অস্বীকার করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তা প্রেরণ করে। কিন্তু এ প্রতিবাদ বার্তাটি এখনো যুগান্তরে প্রকাশ করা হয়নি।

এ প্রতিবেদনটিতে সত্যতার লেশমাত্র নেই বরং বিদ্ধেষের বশবর্তী হয়ে এই ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হয়েছে। শিবিরের ৫জন নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনার উপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির না করে বেআইনি ভাবে গুম করে রাখে। ১৫দিন গুম রাখার পর বিষ্ফোরক উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে আদালতে হাজির করে।

গ্রেপ্তারের পর গুম করে রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিবেদনে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন জনগণের কাছে ছাত্রশিবিরের মর্যাদাকে খাটো করেছে যা মানহানিকর ও সংগঠনের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। যা দেশের প্রচলিত আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।