বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

বিটিআরসি কর্তৃক ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

অবৈধ সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার পর আবারো মানুষের স্বাধীনমত হরণে নেমেছে আওয়ামীলীগ। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন নির্বিঘœ করতে একের পর এক অবৈধ পন্থা গ্রহণ করছে অবৈধ সরকার। তারই অংশ হিসেবে কোন কারণ ছাড়াই অযৌক্তিক অযুহাতে ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ছাত্রশিবির নিয়মতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন এবং ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইটও একই পন্থায় পরিচালিত হয়। ছাত্রশিবিরে ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তি বা উস্কানিমূলক কোন কর্মকান্ডের কোন কেউ কোন দিন দেখাতে পারেনি এবং পারবেও না। কেননা এসব কর্মকান্ড ছাত্রশিবিরের আদর্শের পরিপন্থি। তথাকথিত গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় একটি নিয়মতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া কোন ভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না বরং তা দেওলিয়াত্বের বহি:প্রকাশ।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের ওয়েবসাইট ছাড়াও আরো ৫৭টি নিউজপোর্টাল ও ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে গুলোর মধ্যে পরিবর্তন ডট কম, প্রিয় ডট কমসহ বহুল প্রচারিত নিউজ পোর্টাল রয়েছে। আসলে আওয়ামীলীগ সরকার কখনোই স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী নয়। মানুষের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া অবৈধ সরকারের ঐতিহ্য। এর আগেও ২০১৬ সালে আগস্ট মাসে এক সাথে ৩৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছিল এই অবৈধ সরকার। তাছাড়া দৈনিক আমারদেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান’এর মত জনপ্রিয় গণমাধ্যমও বন্ধ করে রেখেছে বেআইনি ভাবে। যখনই কোন গণমাধ্যম আওয়ামী সরকারের দেশ ও ইসলাম বিরোধী অপকর্ম এবং ষড়যন্ত্র জনগণের সামনে তুলে ধরেছে তখনই সে গণমাধ্যমের উপর আওয়ামী বাকশালী সরকারের খড়গ নেমে এসেছে। আজকের এই অপকর্মের মাধ্যমে তাদের বাকশালী বিকৃত রুপ জাতির সামনে আরেকবার উন্মোচিত হলো। আমরা সরকার কর্তৃক মতপ্রকাশের অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হননের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সৎ সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নৈতিক শক্তি হারিয়ে মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া ও গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া কাপুরুষতা এবং স্বৈরাচারী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। ইতিহাস সাক্ষী, মানুষের মত স্বাধীন মত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার পরিণতি কখনো শুভ হয়নি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ অগণাতন্ত্রিক নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে এবং সরকার কর্তৃক বন্ধ হওয়া সকল ওয়েবাসাইট ও গণমাধ্যম খুলে দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।