বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড.রেজাউল করিমসহ নেতৃবৃন্দের সন্ধান ও মুক্তি দাবী করে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের ধানের শীষের মনোনিত প্রার্থী ডা.শফিকুর রহমানের অন্যতম নির্বাচনী সমন্বয়ক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড.মুহাম্মাদ রেজাউল করিম, তার গাড়ী ড্রাইভার মুহাম্মাদ মুহিবুল্লাহ, এবং যশোর থেকে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের সন্ধান ও মুক্তি দাবী করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, গতকাল ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষ করে ঢাকা মেট্রো গ-২৬-৬৯১৯ গাড়ী যোগে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু সন্ধা ৭.২০টার পর থেকে পরিবার এবং সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর পর থেকে এখনো পর্যনমশ তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তার গাড়ীর পর্যন্ত হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যা অস্বাভাবিক। অন্যদিকে ছাত্রশিবির যশোর জেলা পূর্ব সভাপতি, সেক্রেটারি, স্কুল সম্পাদকসহ দুইজন জামায়াত নেতাকে ডিবি পুলিশ গত ২০ ডিসেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ড. রেজাউল করিম ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচনের সমন্বয়ক ছিলেন। সারাদেশের মত ঐ আসনেও ধানের শীষ প্রতিক প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রমে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন নির্বাচন কেন্দ্রীক হয়রানী হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি গ্রেপ্তার করেছে বলে দেশবাসী মনে করছে। কেননা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি কর্তৃক এমন ঘটনা বহু ঘটছে এবং অতিতেও ঘটেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দেশে একের পর এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনে ভূমিকা পালনকারী নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার হয়রানীর শিকার হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা হয়রানীতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় এখনো পর্যন্ত তাদের সন্ধান না পাওয়ায় তাদের পরিচয় গভীর উদ্ধেগের মধ্যে রয়েছে। আমরাও গভীর ভাবে উদ্ধিগ্ন। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টির বাইরে নেই। অবিলম্বে তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনসহ আইন- শৃংখলা বাহিনীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আশাকরি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে দ্রুত নিখোঁজদের সন্ধান ও মুক্তির ব্যবস্থা করবেন।