সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪

আওয়ামীলীগ জেনে-বুঝেই স্বাধীনতার চেতনায় কুড়াল মারছে: শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, যে আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে নিজেদের দাবি করে, সেই আওয়ামীলীগকে আজ জনগণ ‘চেতনা ব্যবসায়ী’ হিসেবে চিনে। এই দলটি জেনে-বুঝেই স্বাধীনতার চেতনায় কুড়াল মারছে।

তিনি আজ ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখা আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেনী শহর সভাপতি তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জোবায়ের হোসেনের পরিচালনায় আজ সকাল ১০টায় স্থানীয় এক মিলনায়তনে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মিডিয়া সম্পাদক রিয়াদ হোসেন রায়হান, সংস্কৃতি সম্পাদক তারেক মুনাওয়ার প্রমুখ ।

শিবির সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আওয়ামীলীগ বরাবরই বিভক্তির রাজনীতির পথ ধরে এগিয়েছে। তারা এক সময়ে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যেমন দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে, একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এখন তারা বিভেদের রাজনীতিকে জিইয়ে রেখেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ ধুঁয়া তুলে বিভক্তিকে চরমভাবে বাড়িয়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, এখন এ কথা স্পষ্টভাবেই বলা যায়, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার পক্ষের কোন দল নয়। যে দল জনগণকে উপেক্ষা করে শক্তির জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, স্বাধীনতার কথা বলা সেই দলের পক্ষে কোনভাবেই মানায় না। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা হরণ করে যারা স্বাধীনতার কথা বলে, তারা জাতির সামনে বেঈমান হিসেবেই চিহ্নিত।
তিনি আরো বলেন, আমরা ঐক্যের কথা বলি। উন্নয়নের কথা বলি। সারাদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দেশ গড়ার কথা বলি। সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলি। আর এই লক্ষেই ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করে চলছি। কিন্তু সরকার ছাত্রশিবিরের গণতান্ত্রিক সব কর্মসূচিতেই বাধা দিয়ে যাচ্ছে। আজ একদিকে যখন আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করছি, তখন তারা স্বাধীনতার কথা বলে ছাত্র হত্যা করছে। এই খুনী, স্বৈরাচারী সরকারকে সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে এখনই বিদায় করতে হবে।
শিবির সভাপতি জালিম সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।