শনিবার, ০১ জুন ২০১৩

আলোকিত মানুষ হওয়ার প্রত্যয়

তোমাদের আকা স্বপ্নে জ্বলে উঠুক বিজয়ের আলোক মশাল। এ স্লোগানকে ধারন করে এবারের তারকা শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের বরন করে নিল কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির। আগামীর পথচলায় মেধাবীদের কোমল স্পর্শে দেশ মাতৃকার সমৃদ্ধি এগিয়ে যাবে তাই আমরা সবসময় মেধার রাজ্যে নিজেদের আধিপত্যকে বিস্তার করব।এমনটিই সংকল্প করলেন অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ। নানা প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে গতকাল কুমিল্লা মহানগরী শিবিরের আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করে তুলেছিলেন এবারের জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা। সন্তানদের সাথে এই সম্মাননায় এসেছিলেন অভিভাবকরাও। নগরীর একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি মনির আহমেদ। সেক্রেটারী মোঃ শাহ আলমের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শূরা সদস্য জনাব কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গলিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জনাব জহিরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, নগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন, এইচ.আর.ডি সম্পাদক মোঃ ওয়াহেদুুন-নবী। অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন কুমিল্লা জিলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র মাঈন উদ্দীনের বাবা জনাব আবদুর রশিদ। মেধাবীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গান পরিবেশন করেন সিন্দাবাদ শিল্পিগোষ্ঠীর শিল্পিবৃন্দ। এই সময় ফুল ছিটিয়ে সকলকে বরন করে নেওয়া হয়। সর্বশেষ মেধাবীদের মধ্যে ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর আমীর বলেন, যে কোন সমাজ ও জাতি উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে তরান্বিত করতে প্রয়োজন আলোকিত মানুষ। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এ ধরনের মানুষ তৈরি করানোর কোন পদ্দতি নেই। এদেশের সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির লেখা পড়ার পাশাপাশি নৈতিকতার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার মিশন নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু শিবিরের এইসব গঠনমূলক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্থ করছে একটি গোষ্ঠী। কারন এতে করে তাদের কায়েমী স্বার্থবাদী চিন্তাধারা বিকশিত হতে পারেনা। তাই তারা এ পথ বেছে নিয়েছে। তিনি মেধাবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের চিন্তা ও বিবেককে মাথায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সভাপতির বক্তব্য মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি মনির আহমেদ বলেন, বাতিলের সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আজকে আমরা যে আয়োজন করতে পেরেছি এ জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি বলেন,আমরা বিশ্বাস করি আজকের মেধাবীরাই হবে আগামীদিনে জাতির কর্নধার। কারন তাদের শানিত মেধায় যে কোন কাজের গতিশীলতা সহজে বৃদ্ধি পেতে পারে। মেধার সাথে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটলেই আলোকিত মানুষ হওয়া যায়।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা তারেক আহমেদ ছিদ্দিকী,ফয়সাল আহমেদ,সদর উদ্দীন শাহাদাতসহ বিভিন্ন কলেজের সভাপতিবৃন্দ।