শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০১৪

ভোট চুরি কেন্দ্র দখল করতে সরকার দলীয় খুনী সন্ত্রাসীদের মদদ যোগাচ্ছে- শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বাগেরহাটে মানজারুল ইসলামকে হত্যা করেছে। ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখল করার জন্য সরকার এইসব দলীয় খুনী ও সন্ত্রাসীদের মদদ যোগাচ্ছে।
তিনি আজ শহীদ মানজারুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় নারায়নগঞ্জ মহানগরী আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আবদুল মোমেনের পরিচালনায় নারায়নগঞ্জের এক মিলনায়তনে আজ বিকাল ৩.০০টায় এই মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে মহানগরীর সকল দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, শিবির নেতা মানজারুল ইসলামকে হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা সারাদেশেই তা-ব চালাচ্ছে। প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচন থেকেই সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখল করতে খুন, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা, উল্টো নির্যাতিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে চলছে।
তিনি বলেন, মানজারুল ইসলাম হত্যকান্ডের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা সারাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। আওয়ামী সরকার কী ধরণের ভোট জনগনকে উপহার দিতে চায়, তা পরিস্কার হয়ে গেছে। জনগন বুঝে গেছে, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। ভাল চাইলে সরকারের উচিৎ হবে এখনই মানজারুল ইসলামের হত্যাকারীসহ সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা। অন্যথায় দেশব্যাপী চলমান সন্ত্রাসের দায়ে আওয়ামী সরকারের পতন অনিবার্য।
তিনি আরো বলেন, শহীদ মানজারুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা। তিনি ইসলামী আন্দোলনের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমাদের প্রত্যেককে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে হবে। শহীদী রক্ত বাংলাদেশের মাটিকে উর্বর করেছে। সর্বস্তরের মানুষের মাঝে দাওয়াতী কাজ করে আমাদেরকে এই উর্বর যমীনকে ইসলামী কল্যান রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের দিনে বাগেরহাটে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে শিবির নেতা মানজারুল ইসলামকে হত্যা করে।