শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

বিভেদের রাজনীতি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে- শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, আওয়ামী সরকার যে প্রতিহিংসার রাজনীতির চর্চা করছে তা দেশের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিভেদের রাজনীতিই বাংলাদেশকে বার বার পিছিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম আয়োজিত সংগঠনের সদস্যদের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে এই পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরী সভাপতি তামিম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসেন।

শিবির সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু আওয়ামীলীগের বিভেদের রাজনীতি বরাবরই বাংলাদেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য দলমত নির্বিশেষে জাতিয় ঐক্যের যে বড় প্রয়োজন আছে, তা তাদের মাথায় আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই আওয়ামী নেতারা ব্যস্ত। এর জন্য তারা বিভাজনের রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছে। বিভাজন তৈরি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে আওয়ামী সরকার।
তিনি বলেন, ঈদুল আযহা আমাদের আত্মত্যাগের শিক্ষা দিয়েছে। প্রতিংিসা ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছে। এই শিক্ষাকে ধারণ করেই সামনের দিকে পথ চলতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আওয়ামীলীগ বিরোধী কোন মতকেই সহ্য করতে পারে না। বরাবরই এই দলটির আচরণ বাকশালী চিন্তায় পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর জন্য আওয়ামীলীগকেও একদিন মাশুল দিতে হবে। যে বিভেদের চর্চা তারা জিইয়ে রেখেছে, এর ফলে তারা পুরোপুরি একঘরে হয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রশিবির বরাবরের মত এবারও পবিত্র ঈদুল আযহায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের উদ্যোগে কুরবানী দিয়ে গরীব মানুষের মাঝে গোশত বিতরণ করা হয়েছে। গরীব ছাত্ররা যেন অন্যদের মত সমানভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য শিবিরের নেতাকর্মীরা সাধ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে লাখো ছাত্রজনতা আজ শিবিরের পতাকাতলে শামিল হয়েছে।
শিবির সভাপতি বলেন, আমরা কোন বিভেদ, প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখতে চাই না। সে লক্ষেই আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সময় আসছে, একদিন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ আদর্শচ্যুত সব বস্তাপঁচা রাজনৈতিক মতবাদ ছুঁড়ে ফেলে ইসলামী আন্দোলনের পথকে বেছে নেবে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ছাত্রশিবিরের নাম আরো শক্তিশালীভাবে উচ্চারিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি সেবামূলক কাজকে আরো গতিশীল করতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।