সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ছাত্রশিবির সকলের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চায়- শিবির সভাপতি

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ রাজধানীর বুকে থাকা অনেক মানুষ আজো অক্ষর জ্ঞানহীন। স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেলেও আজো বাংলাদেশের অনেক শিশু স্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ছাত্রশিবির এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। এই সংগঠন সকলের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চায়।

তিনি আজ ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরী আয়োজিত আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গাজীপুরের এক মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরী সভাপতি সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু নায়েম মোল্লার পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মহিউদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি এস এম ফয়সাল পারভেজ।

শিবির সভাপতি বলেন, বিশ্বে অনেক দেশই এখন শিক্ষার হারের ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভুটান ও শ্রীলঙ্কায়ও শিক্ষার হার শতভাগ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। এর জন্য সরকারসহ যারা নানান সুবিধা পেয়ে বড় হয়েছে প্রত্যেকেই দায়ী। দেশে একের পর এক সরকার এসেছে; তারা যেমন শিক্ষাকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে, তেমনিভাবে আমরা যারা নানান সুবিধা পেয়ে বড় হয়েছি, আমরাও সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে সে অর্থে দাঁড়াতে পারিনি। এই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়েই আমাদের আজো যাদের অক্ষর জ্ঞান নেই, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি, পরীক্ষা হলেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। অথচ এসব বন্ধে সরকারের কোন যথাযথ উদ্যোগ নেই। একদিকে দেশের অনেক মানুষ যেমন শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত, অন্যদিকে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির ফলে অনেককে স্বল্প শিক্ষিত অবস্থায়ই ছাত্রজীবন শেষ করতে হচ্ছে। ফলে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস বন্ধ করে শিক্ষাঙ্গনে আবারো পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামে শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূল (সাঃ) জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন পর্যন্ত যেতে বলেছেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেন জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হয়, সেজন্য ইসলামে তাগিদ দেয়া হয়েছে। মানুষ যত পড়বে, শিখবে, তারা ততই অধিকার সচেতন হবে। শিক্ষিত সচেতন মানুষের সংখ্য বেড়ে গেলে সমাজে অপশাসন প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ কমে যায়।