শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০১৪

দেশপ্রেমিক জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই -শিবির সেক্রেটারী জেনারেল

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেছেন, সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি সাফল্য অর্জন করতে পারে না। তার প্রমাণ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় মেধাবী থাকলেও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি না।

তিনি আজ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ইসলামী শিক্ষা দিবসের আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শুকবার সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে শাখা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী তারেক আব্দুল্লার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী অফিস সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

শিবির সেক্রেটারী বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে মেধাবীদের মাঝে নৈতিক জ্ঞানের অনুপস্থিতির কারণে দেশ সামনের দিকে এগুতে পারছে না। দুর্নীতির মহামারী বার বার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে মেধাবীরা রাষ্টের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত থেকে দুর্নীতি করছে। তাদের মধ্য চলমান শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার সমন্বয় থাকলে তারা দেশের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হত। দেশ এগিয়ে যেত সমৃদ্ধির দিকে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গঠন করলে সমাজের অন্যায়-অত্যাচার, খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানি কমে যেত। দেশে নেমে আসত শান্তির ধারা। আর এ নৈতিক শিক্ষার পক্ষে সেদিন নজর কারা বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন শহীদ আব্দুল মালেক।

শিবির সেক্রেটারী আরো বলেন, শহীদ আব্দুল মালেক তখনকার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬৯ সালের ১২ আগষ্ট ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রীদের নির্মম আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তারা ভেবেছিল আব্দুল মালেককে হত্যা করলেই ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তার রেখে যাওয়া স্বপ্নের পথে হাটছে আজ লাখো তরুন। আজ সমাজে যদি ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলে তবেই শহীদ আব্দুল মালেকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।