সোমবার, ১১ মে ২০১৫

আল কোরআন ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীরা যুগে যুগে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেন, কুরআনের পথে চলা ও তার বিরোধীদের পরিণতি স্পষ্ট। কুরআনের পথের যাত্রীরা দুনিয়া ও আখেরাতে সফল আর কুরআনকে যারা ধ্বংস করতে চেয়েছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির আয়োজিত ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ বেলা ১২টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।
শিবির সভাপতি বলেন, যুগে যুগে কোরআনকে ধ্বংস করতে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র হয়েছে। কুরআনের শত্রুরা বিভিন্ন অবস্থান থেকে কুরআনকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। কিন্তু এর ফলাফল হয়েছে একই রকম। আর তা হলো তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। নিজেদের স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের ধিকৃতদের কাতারে। অন্যদিকে কুরআনকে বুকে ধারণ করে যারা জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা ইতিহাসের প্রেরণার বাতিঘর হয়ে বেঁচে আছেন। কুরআন হলো চির সত্যর বাণী। আর সত্যর সাথে বাতিলের সংঘাত থাকবে অনন্তকাল। এটাই ঐতিহাসিক বাস্তবতা। বাংলার জমিনও এই অনিবার্য পরিণতির বাইরে নয়। কুরআনের পথে অবিচল থাকতে গিয়ে গণহত্যার শিকার হয়েছে বাংলার নারী, শিশু, বৃদ্ধ, আলেম-ওলামা। শুধু মাত্র কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে সাজানো বিচারে হত্যা করা হয়েছে শহীদ কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। একই কায়দায় চলছে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোজাহিদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র। কিন্তু এটা আজ বাস্তবত সত্য যে শহীদেরা আজ সম্মানিত ও খুনিরা ধিকৃত।
তিনি ১৯৮৫ সালের ১১ মে’র কথা স্মরণ করে বলেন, সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেভাবে কুরআনপ্রেমী মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তা সত্যিই বেদনাদায়ক। দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, সেদিনের খুনীদের বিচার না করে বরং পুরষ্কৃত করা হয়েছে। উচিৎ ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে সেদিনের শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা। কিন্তু রাষ্ট্র অবহেলা করলেও সেদিনের শহীদেরা বাংলার জমিনের কুরআন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক আলোক বর্তিকা রুপে ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা কুরআনের কথা বলি, তাদেরকে কুরআনের আলোকেই সব সমস্যার সমাধানের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। ব্যক্তি কিভাবে প্রতিদিনের জীবনকে কুরআনের আলোকে সাজাতে পারে, তার জীবন্ত নমুনা হয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। কুরআন আমাদের ধৈর্য্যর শিক্ষা দেয়, বৈরি পরিবেশেও কোন কৌশল অবলম্বন করে পথ চলতে হবে, তাও নির্দেশ করে। আমাদেরকে গভীর অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআন থেকেই যে কোন সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। তাহলে ব্যক্তি জীবন সুন্দর করার পাশাপাশি আমাদের সমাজও সুন্দর হয়ে উঠবে।
তিনি নিজেদেরকে কুরআনের আলোকে গড়ে তুলতে এবং কুরআন বিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র সচেতনতার সাথে রুখে দিতে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

সংশ্লিষ্ট