শনিবার, ০১ আগস্ট ২০১৫

দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই

বৃক্ষরোপন অভিযান ২০১৫ এর উদ্বোধন

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, দিনে দিনে দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ বৃক্ষ নিধন। তাই দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষায় বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই। তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০১৫’ উদ্বোধন উপলক্ষে চারা গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপন কালে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি এম শামিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক রাশেদুল হাসান রানা।

সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, নানা ভাবে দেশে বৃক্ষ নিধন চলছে। মানুষ অসচেতন ভাবে গাছ কাটলেও সেই অনুপাতে রোপন করছেনা। অন্য দিকে চোরাকারবারী ও সরকারী অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অবৈধ ভাবে গাছ কেটে বন উজার করা হচ্ছে। দেশের অমূল্য সম্পদ এই গাছ পাচার হচ্ছে বিদেশে। এই অনিয়ন্ত্রিত বৃক্ষ নিধনের ফলে দেশের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগে মোকাবেলায় গাছপালা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামেও গাছ লাগনোর কাজকে সদকাহ জারিয়াহ উল্লেখ করা হয়েছে। মহানবী সা. বহুবার গাছ লাগানোর প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। সুতরাং একটি মুসলিম প্রধান দেশ হয়ে বাংলাদেশ গাছের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে তা হতে পারেনা। তাছাড়া বৃক্ষরোপন দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য আয়ের ভাল একটি উৎস হতে পারে। তাই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে দেশকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে যেমন রক্ষা করা যাবে তেমনি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ১ই আগষ্ট থেকে ৭ আগষ্ট পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি ঘোষনা করেছে ছাত্রশিবির। কর্মসূচি সফল করতে সারাদেশে সকল জনশক্তি একটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপণ ও দুটি করে গাছের চারা বিতরণ করবে। এছাড়া বৃক্ষ নিধন রোধে জনসচেতনা তৈরী, স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, বৃক্ষ রোপনে উদ্বুদ্ধ করণের জন্য বর্ণাঢ্য র‌্যালি, ব্যানার, ফেষ্টুন ও ষ্টিকার লাগানোর মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রশিবির।

সংশ্লিষ্ট