রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৫

দেশপ্রেমিক ও উন্নত জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, জাতির কাঙ্খিত সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরীক গঠনে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। আর ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া নৈতিক শিক্ষা সম্ভব নয়।

তিনি আজ চট্টগ্রামের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ইসলামী শিক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি জাওয়াদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গভেষনা সম্পাদক মো’তাসিম বিল্লাহ, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল মো. ইউনুস।

শিবির সভাপতি বলেন, দেশে শিক্ষিতদের মাঝে নৈতিক জ্ঞানের অভাবের কারণে জাতি সামনের দিকে এগুতে পারছে না। দূর্নীতির মহামারীতে বার বার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে মেধাবীরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দূর্নীতি করছে। চলমান শিক্ষার সাথে নৈতিকতার সমন্বয় থাকলে তারা দেশের অভিশাপে না হয়ে সম্পদে পরিণত হত। দেশ এগিয়ে যেত সমৃদ্ধির দিকে। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গঠন করলে সমাজের অন্যায়-অত্যাচার, খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানি কমে যেত। দেশে নেমে আসত শান্তির ধারা।

শিবির সভাপতি আরো বলেন, শহীদ আব্দুল মালেক তখনকার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। ১৯৬৯ সালের ১২ আগষ্ট ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে কথা বলার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও সমাজতন্ত্রীদের নির্মম আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগষ্ট তিনি শাহাদাত বরণ করেন। তারা ভেবেছিল আব্দুল মালেককে হত্যা করলেই ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তার রেখে যাওয়া স্বপ্নের পথে হাটছে আজ লাখো তরুন। রাষ্ট্রে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহীদ আব্দুল মালেকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের প্রতিটি ছাত্রকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে এজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজের দায়িত্ব ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদেরকেই নিতে হবে । সমাজের প্রত্যেকটি ছাত্রের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছিয়ে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে।

সংশ্লিষ্ট