মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

যশোরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় হাবিবুল্লাহ নিহতের পর চলে গেল কামরুল আহসানও

যশোরে ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা ও নির্যাতনে শিবির নেতা হাবিবুল্লাহ হোসাইন নিহত হওয়ার পর গুরুতর আহত শিবির কর্মী কামরুল আহসানও চলে গেল না ফেরার দেশে।

গত ২৩ নভেম্বর দুপুর ২টায় যশোর সরকারি মাইকেল মধুসুধন কলেজের অর্থনীতির ৩য় বর্ষের ছাত্র মো: হাবিবুল্লাহ হোসাইন, কামরুল আহসান, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর নেতৃত্বে জিসান, রনি, জুয়েলসহ ১০-১৫জন ছাত্রলীগ ক্যাডার মেস থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে কলেজের আসাদ হলে আটকে রেখে তাদের উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। ঘন্টা খানেক পর পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাবিবুল্লাহ হোসাইনকে মৃত ঘোষনা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্য দুই জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে কামরুল হাসানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় আনার পথে সেও রাত ২টায় মারা যায়। ছাত্রলীগের এই বর্বরতায় এলাকা ও ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছাত্রলীগের চিহ্নিত খুনিরা প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ব হয়ে উঠেছে। কোন কারণ ছাড়াই মেধাবী ছাত্রদেরকে মেস থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা কোন রাজনৈতিক চর্চা হহতে পারে না। অপরদিকে এই জঘন্য হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে ইতমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে কিছু মিডিয়া এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে গণপিটুনি বলে চলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে শিবির নেতার হত্যার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধের দাবীতে আজ সারা দেশে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল চলছে।

সংশ্লিষ্ট