মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জনগণের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে


ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেছেন, একটি মুসলিম ও সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার ভোগের সাথে সাথে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু আদর্শহীন ক্ষমতা লিপ্সুদের নিকৃষ্ট অপকর্ম জাতির মর্যাদা বার বার ভূলুন্ঠিত করছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। জনগণের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম আয়োজিত থানা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক শাহিন আহমেদ খান।

শিবির সভাপতি বলেন, যে জাতি জীবনবাজী রেখে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সে জাতি দ্রুততার সাথে উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু লজ্জার বিষয় হলো স্বাধীনতার পর থেকেই জাতিকে দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। রক্তে অর্জিত দেশকে বাকশাল, সীমাহীন দুর্নীতি, গুম, খুন ও অপশাসনের চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। আজও তাদের উত্তরসূরিরা একই কাজ করছে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ আজ বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে পরিচিত। গণতন্ত্রকে হত্যা করে নব্য বাকশালীরা দেশের কপালে স্বৈরাচারের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় শক্তি কর্তৃক গণহত্যা, গুম, খুন, নৃশংসতা, গ্রেফতার নির্যাতন দেশকে বদ্ধভূমি ও বৃহত্তর কারাগার হিসেবে পরিচিত করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে আইন, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র, নাস্তিক্যবাদের লালন মুসলিমদের শঙ্কিত করে তুলেছে। এসব অপকর্ম বার বার জাতির মর্যাদাহানী করছে।

তিনি বলেন, তবুও আমরা আশাবাদী। কারণ এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার ইতিহাস বিরল নয়। এখনো দেশ ও ইসলাম রক্ষায় নারী, শিশু, আলেম-ওলামা, ছাত্রজনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাতিলের প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। আদর্শহীনরা দেশের মর্যাদাহানী করেই যাবে কিন্তু আদর্শবাদীদের বসে থাকার সুযোগ নেই। ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা দেশের মর্যাদা রক্ষায় জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অপসংস্কৃতিমুক্ত এবং দেশ ও ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এ সংগঠন আজ মানুষের আশার স্থলে পরিণত হয়েছে। সুতরাং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি গঠনে দাওয়াত ও সংগঠনের কাজের গতি আরও তীব্র করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট