শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০১৬

শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান বলেছেন, নৃশংস বর্বরতার প্রতিক ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বাতিলপন্থী ছাত্রসংগঠন গুলোর হত্যা নির্ভর রাজনীতির শিকার হয়ে সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রান্তর শিবির নেতাকর্মীদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। বর্বরদের সেই নৃশংসতা আজও অব্যাহত আছে। কিন্তু ছাত্রশিবির দমে যায়নি। বরং শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তিনি আজ রাজধানীর শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব আয়োজিত ১১ই মার্চ ঐতিহাসিক শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ। একদিকে নির্মম ও বর্বরতার অন্য দিকে চরম ধৈর্যের নিদর্শনের দিন। সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত ছাত্রদের সংবর্ধনার আয়োজন করে ছাত্রশিবির। কিন্তু ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী সহ ইসলাম বিদ্বেষী কতক সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে একের পর এক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেও না পেরে অবশেষে হত্যার পথ বেঁছে নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধ সহস্রাধিক সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এনে শিবিরকর্মীদের উপর হামলা চালায়। আহত হয় অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও শিবির নেতাকর্মীরা। হাসপাতালে সেদিনই শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন শহীদ সাব্বির ও শহীদ আবদুল হামিদ। পরদিন তাদের কাতারে যুক্ত হন শহীদ আইয়ুব। আর দীর্ঘ ১০ মাসের যন্ত্রণা ভোগের পর ২৮ ডিসেম্বর মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে যান শহীদ আবদুল জব্বার। তাদের একেক জনের বীভৎস নির্যাতনের কথা শুনে গা শিউরে উঠে। কিন্তু অকুতোভয় শিবির নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ সাহসিকতা ও ধৈর্য্য দিয়ে নজির বিহীন ইতিহাসের সৃষ্টি করে ছিল। নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছিলেন কিন্তু কালেমার বানী প্রচার ও প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় থেকে সরে আসেন নি।

তিনি আরও বলেন, সেদিন জালিমেরা ভেবে ছিল এই বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। কিন্তু রক্ত ঝরিয়ে আদর্শকে দমন করা যায়না বরং আন্দোলনের ভিত্তি আরও মজবুত হয়। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছাত্রশিবিরের আজকের অবস্থান। সেই শহীদদের ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মী জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। এখনো চলছে জুলুম নির্যাতনের স্ট্রীম রোলার। কিন্তু ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য থেকে পিছু হটেনি এবং হটবেও না ইনশাআল্লাহ। ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা এই জুলুম নির্যাতনকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ মনে করে। যাদেরকে হত্যা করে বাতিল শক্তি ইসলামী আন্দোলনকে দমিয়ে দিতে চেয়ে ছিল তারাই আজ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণার উৎস। এই প্রেরণার পথ ধরে এ জমিনে একদিন সমৃদ্ধ সোনালী সমাজ নির্মিত হবে ইনশাআল্লাহ।

সংশ্লিষ্ট