বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

শিবির নেতা হত্যাকারীদের কঠোর বিচারের সম্মুখীন হতে হবে-ছাত্রশিবির

ঝিনাইদহে পুলিশ কর্তৃক ২ শিবির নেতাকে আটকের পর অস্বীকার করে ২৫ দিন পর তাদের হত্যার প্রতিবাদে দাবীতে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, নৃশসংসতাই অবৈধ সরকার ও তাদের সেবাদাস পুলিশের মূল কাজে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র মৌলিক অধিকার ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়ার পর অবৈধ সরকার ও তাদের সেবাদাস পুলিশ নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে। গত ১৮.০৩.১৬ তারিখ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে ঝিনাইদহ জামতলা মোড় থেকে ছাত্রশিবির কালিগঞ্জ পৌরসভার সভাপতি আবুজর গিফারিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবার এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিবৃতির মাধ্যমে তার সন্ধান দাবী করা হয়। তাদের সন্ধানের দাবীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো ২৫.০৩.১৬ তারিখে ঝিনাইদহ কে সি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার গ্রেপ্তারের কথাও পুলিশ অস্বীকার করে। দ্বীর্ঘ ২৫ দিন তাদের বেআইনি ভাবে আটক রেখে আজ রাতের আধারে পরিকল্পিতভাবে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। প্রায় প্রতিদিন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে। একের পর এক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের সামনে। অথচ পুলিশ তাদের প্রতি নজর না দিয়ে নিরীহ ছাত্রদের গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে। পুলিশের এই দ্বিমুখী আচরণ জনগণকে ক্ষুদ্ধ করে চলেছে। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, ছাত্রশিবির শান্তিপূর্ণ পথ চলায় বিশ্বাসী। কিন্তু বিনা অপরাধে নেতাকর্মীদের খুন করা হলে কঠোর আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা থাকবে না। আমরা অবিলম্বে দুই নেতার হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় ছাত্রদের জান-মাল রক্ষায় কোন কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামলে তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।

ঢাকা মহানগরী পূর্ব
শিবির নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা। দুপুর ২টায় রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় শাখা সভাপতি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা।

ঢাকা মহানগরী পশ্চিম
রাজধানীতে মিছিল সমাবেশ করে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা। সকাল ১১টায় শাখা সভাপতি খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বে মিছিলটি মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করে।

গাজীপুর মহানগরী
ঝিনাইদহে ২ শিবির নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রশিবির গাজীপুর মহানগরী। মহানগরী সভাপতি আহমদ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় ।

সিলেট মহানগরী
নগরীতে মিছিল সমাবেশ করে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী শাখা। সকাল ১১টায় শাখা সেক্রেটারীর নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর আম্বরখান এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর
নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখা। সকাল ১০টা মিছিলটি নগরীর প্রাণকেন্দ্রে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শাখা সেক্রেটারী নাজিব আহসান।

চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ
নেতৃবৃন্দকে হত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ শাখা। দুপুর ১টায় নগরীতে এই বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা।

কক্সবাজার শহর
শিবির নেতাদের সন্ধানের দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির কক্সবাজার শহর শাখা। শাখা সভাপতি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর
কর্মসূচি সফল করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রশিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। এতে শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।