মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬

সংখ্যালঘু হত্যায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা আড়াল করতে ঝিনাইদহে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করছে পুলিশ

পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার ও বেআইনি ভাবে ১৬ দিন আটক রেখে ঝিনাইদহ শহর শাখার সাবেক সাথী, সাবেক থানা অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে পরিকল্পিত ভাবে রাতের আঁধারে গুলি চালিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, যখন ঝিনাইদহে সংখ্যালঘু হত্যার সাথে গুলশানে হামলাকারী নিবরাস, আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতার জঙ্গি ছেলেসহ জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট হয়েছে তখন তা আড়াল করতে একের পর এক নিরপরাধ ছাত্রকে হত্যা করে চলেছে পুলিশ। গত ৩ই জুলাই ঝিনাইদহের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঝিনাইদহ শহর শাখার সাবেক সাথী, সাবেক থানা অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে। কিন্তু বরাবরের মতই তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে পুলিশ। সাইফুল ইসলামসহ গ্রেপ্তার হওয়া আরও ৪ জনের সন্ধানের দাবীতে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। এদের মধ্য থেকে দুই জনকে স্বীকারোক্তির নাটক সাজিয়ে গত ১৭ জুলাই আদালতে হাজির করে পুলিশ। আর আজ সাইফুল ইসলামকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে রাতের আঁধারে হত্যা করেছে পুলিশ। এই নরঘাতকতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। মুলত পুলিশ তাদের দীর্ঘদিন আটক রেখে সংখ্যালঘু হত্যার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী আদায়ের জন্য নির্মম নির্যাতন চালায়। শত নির্যাতনের পরেও মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। আমরা জানতে চাই, সরকার ঝিনাইদহে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যার দায়ভার ছাত্রশিবিরের উপর চাপিয়ে চিহ্নিত জঙ্গিদের আড়াল করতে চাইছে কার স্বার্থে?
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিবেক ও দায়িত্ববোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করে পুলিশ যে বর্বরতার নজির স্থাপন করছে তার জাতির সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করে সরকার বা পুলিশ পার পাবেনা। কারণ সরকার, পুলিশ ও জঙ্গিদের সকল কর্মকান্ড জনগণের কাছে পরিস্কার। একই সাথে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যারা নিরপরাধ ছাত্রদের নির্মম ভাবে হত্যা করছে তারাও জনগণের কাছে অচেনা নয়। সময়ের ব্যবধানে প্রতিটি হত্যাকান্ডের জন্য অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যদের কঠোর বিচারের সম্মুখ্যিন হতে হবে।


নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা জঙ্গিদের উৎসাহিত করবে। ফলে জনজীবন আরও নিরপত্তাহীন হয়ে পড়বে। সুতরাং অবিলম্বে এই পরিকল্পিত ছাত্রহত্যা বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দেশের বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের এই রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে জাতিসংঘসহ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট