মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬

সারাদেশে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ঢাকা, দিনাজপুর ও খুলনাসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।


এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, পড়ালেখা ও স্বাভাবিক জীবযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে সরকার পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রদের উপর হামলে পড়েছে। নির্বিচারে হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার ও হয়রানী করে নিরপরাধ ছাত্রদের জীবন দূর্বিষহ করে তুলেছে। তারই অংশ হিসেবে কোন কারণ ছাড়াই একের পর এক গ্রেপ্তার করছে নিরাপরাধ ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের। গতকাল রাত ২টায় অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখা সভাপতি আয়াতউল্লাহসহ ৫ নেতাকর্মীকে। খুলনা মহানগরী সেক্রেটারী ইমরান খালিদ ও এইচআরডি সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিককে দিনে দুপুরে রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করে ককটেল নাটক সাজানো হয়েছে। গতরাতে রাজধানীর রমনা থেকে চার জন ও খিলগাও থেকে দশ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ যাদের কাউকেই এখন পর্যন্ত আদালতে হাজির করা হয়নি। এছাড়া দুদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর ৫ নেতাকর্মীকে। সম্প্রতি বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা হচ্ছে। কোন অশুভ উদ্দেশ্যে হাসিল করার জন্যই এই পরিকল্পিত গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। এর মাধ্যমে সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।


নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এই অমানবিক আচরণ তাদের দেওলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। এসব অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার লংঘনকারী আচরণ সরকারে জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না। অবিলম্বে নেতৃবৃন্দসহ নিরাপরাধ ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে। গণগ্রেপ্তার ও পুলিশি গুম খুন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় বিনা কারণে এমন উস্কানিমূলক আচরণ অব্যাহত রাখলে ছাত্রজনতা প্রতিরোধের পথে হাটতে বাধ্য হবে।


নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও ভবিষ্যতে এমন অন্যায় গণগ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট