বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০১৬

চবি প্রক্টরের বক্তব্য অসত্য ও রাজনৈতিক

ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে চবি প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরীর দায়িত্বহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, তিনি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা হতবাক। তিনি বলেছেন গুলশান হামলার মাষ্টার মাইন্ড মারজান শিবিরের সাথী ছিল এবং ল্যাপটপে লিষ্টে তার নাম আছে। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা চ্যালেন্জ করে বলছি, মারজানের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক কেউ দেখাতে পারবে না। তিনি বলেছেন, ’হল থেকে উদ্ধারকৃত নথি পত্রে মারজানের নাম আছে’! যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই ছাত্রশিবিরের কোন তালিকাতে মারজানের নাম থাকার প্রশ্নই আসে না। তিনি যে তালিকার কথা বলছেন, তা কাল্পনিক ও বানোয়াট। প্রক্টরের এই বক্তব্য মূলত আওয়ামী মন্ত্রী এমপিদের রাজনৈতিক বক্তব্যেরই প্রতিফলন। আমরা মনে করি তিনি তার অবস্থানের কথা ভূলে গিয়ে কোন একটি রাজনৈতিক মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে একটি ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বিষেদাগার কোন ভাবেই কাম্য নয়। ছাত্রদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থেকে স্বয়ং প্রক্টরই যদি এমন রাজনৈতিক অবস্থান নেন তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়? আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের এমন স্পর্শকাতর ইস্যুতে রাজনৈতিক অবস্থান ছাত্র-শিক্ষক সবার জন্যই লজ্জাজনক। আমরা আশা করব তিনি তার অবস্থানের কথা চিন্তা করে এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। সেই সাথে ভবিষ্যতে এই ধরণের স্পর্শকাতর ইস্যুতে বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে আরো বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিবেন বলে আশা করি।

নেতৃবৃন্দ এ ধরণের মিথ্যা ও বিদ্বেষ প্রসূত বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে এবং অবিলম্বে মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করতে প্রক্টরের প্রতি আহবান জানান।