শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০১৬

কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্বদানে নিজেদের তৈরী করতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, বছরের পর বছর অসৎ নেতৃত্বের অপশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তারা সৎ নেতৃত্বের প্রত্যাশায় প্রহর গুণছে। সুতরাং জাতিকে হতাশ হয়ে থাকতে দেয়া যায়না। জাতির কাঙ্খিত নেতৃত্ব দানে নিজেদের তৈরী করতে হবে। 

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত দিন ব্যাপী ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক সাদেক বিল্লাহ।

শিবির সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, একটি দেশ উন্নতি শিহরে আরোহন করার জন্য যা দরকার সবই আছে এদেশে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতার বয়স প্রায় চার দশক হলেও শোষনহীন সমাজ বা সোনার বাংলা এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। আগামীর দিন গুলোও ছেয়ে আছে অনিশ্চয়তায়। এ অবস্থার মূল কারণ অসৎ নেতৃত্ব। এক অসৎ নেতৃত্ব জন্ম দিচ্ছে আরো অসৎ নেতৃত্বের। স্বাধীনতার পর থেকে এভাবেই চলছে দেশ। ফলে কাঙ্খিত সোনার বাংলা আজ বিভীষিকাময় প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র আজও মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারেনি। মানুষের জীবন যাত্রা গুম, খুন, অরাজকতা ও অনিশ্চয়তায় ছেয়ে গেছে। দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অসৎ নেতৃত্বের অপশাসনের শিকার। স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ও মৌলিক অধিকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। এমনকি রক্ত নদীর বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও আজ হুমকির মুখে। জাতির এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ একটিই আর তা হলো সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্ব কায়েম।

তিনি বলেন, সৎ নেতৃত্ব কায়েমের জন্য ছাত্রসমাজের ভূমিকাই প্রধান। তারাই নতুন দিনের বার্তাবাহক। কিন্তু নানা কারণে ছাত্রসমাজের একটি অংশ জাতিকে হতাশ করছে। সুতরাং জাতির কাঙ্খিত নেতৃত্ব কায়েমের দায়ীত্ব ছাত্রশিবিরকেই নিতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ অবধি শিবিরের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদেরকে নিজেদের চরিত্র ও আচরণে ইসলামের সুমহান আদর্শ ধারণ করে জনগনের সামনে তা ফুটিয়ে তুলতে হবে। পরকালের ভয় ও যোগ্যতার সমন্নয় করে নেতৃত্বের প্রত্যাশিত গুনাবলী অর্জন করতে হবে। যদিও হাজারো বিপথের হাত ছানি আছে তবুও কুরআনকে বুকে ধারণ করে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে নিজেদের দূরে থাকতে হবে এবং ছাত্রসমাজকেও দূরে রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

সংশ্লিষ্ট