শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

স্বাধীন বাংলাদেশে ২৮শে অক্টোবর নির্মমতার এক প্রতিচ্ছবি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, শান্তিকামী মানুষ আজও ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবরে আওয়ামী বর্বরতার কথা মনে করে শিউরে উঠে। সেদিন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে মানবতা হয়েছিলো ভূলন্ঠিত। স্বাধীন বাংলাদেশ ২৮শে অক্টোবর যেন নির্মমতার এক প্রতিচ্ছবি। 


তিনি আজ রাজধানীর শহীদ আব্দুল মালেক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ২৮শে অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোকচিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি জামিল মাহমুদের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসোবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন ও কেন্দ্রীয় দাওয়া কার্যক্রম সম্পাদক আনিসুর রহমান বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মমতা প্রতিটি শান্তিকামী মানুষকে স্তব্দ ও হতবিহবল করে দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মানুষ এমন হায়েনার রুপ ধারণ করতে পারে তা কেউ ভাবতে পারেনি। শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের মানুষ এই বর্বরতা প্রত্যক্ষ করেছে। তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব এই বর্বরতা নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। ২৮ অক্টোবরের খুনিরা চিহ্নিত থাকলেও আজ পর্যন্ত তাদের বিচার করা হয়নি উল্টো সরকার অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে মামলা প্রত্যাহার করে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। আমরা বলব, সরকার মামলা বন্ধ করতে পারে, খুনিদের মদদ দিতে পারে, মিথ্যাচার করতে পারে কিন্তু ২৮শে অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের যে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে তা জনগণ কোন দিনই ভুলবে না, অপরাধীদেরকেও ক্ষমা করবে না।

তিনি বলেন, সেদিন নিরপরাধ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের হত্যা করে আওয়ামীলীগ নিজেদের রাজনৈতিক অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মদদ দেয়ার ফলে তারা একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলছে। নাটোরে চেয়ারম্যান বাবুকে একই কায়দায় রাজপথে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ফেনীতে নিজ দলের চেয়ারম্যানকে জীবন্ত পুড়িয়ে অঙ্গার করাসহ নানা বিভৎস খুনের নজির স্থাপন করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ফলে আওয়ামীলীগ আজ বর্বরতার প্রতিকে পরিণত হয়েছে। আর ২৮শে অক্টোবর যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা জাতির কাছে সহমর্মিতার পাত্রে পরিণত হয়েছে। হাজারো মুজাহীদ, শিপন মাসুমরা আজ ২৮শে অক্টোবরের শহীদদের স্বপ্ন পূরণের শপথ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই আয়োজনে রক্তাক্ত ছবিগুলো আমাদের ভীত করেনা বরং প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নিতে শপথবদ্ধ করে। সময়ের ব্যবধানে বাংলার জমিনে কুরআনের আলোকে বিনির্মান করে শহীদরে প্রতিফোটা রক্তের বদলা নেয়া হবে ইনশআল্লাহ।

উদ্বোধন শেষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট