শুক্রবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৬

সমকালে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক সমকালে ধর্ষণের অভিযোগে আটক আলমগীরের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, একটি বিশেষ মহলের নির্দেশনায় যেখানে সেখানে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে নিকৃষ্ট অপপ্রচারে সক্রিয় আছে সমকাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রংপুরে বেসরকারি নর্দান নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আলমগীর হোসেন শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এই জঘন্য মিথ্যাচারের পক্ষে প্রতিবেদক কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমান দিতে পারেননি। প্রতিবেদক তার মিথ্যাচারকে প্রতিষ্ঠিত করতে বলেছেন, তার পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত সুতরাং সে শিবির করে। যা হাস্যকর।

প্রতিবেদকের কাছে আমাদের প্রশ্ন, অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ছাত্রশিবিরের কোথায় ও কোন পর্যায়ে সম্পৃক্ত ছিল? আমরা দৃঢভাবে বলতে চাই, অভিযুক্ত আলমগীরের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নাই। মূলত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও ঘৃণ্য রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতেই প্রতিবেদক এমন ভারসাম্যহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগেও সে ধর্ষণ করেছে, এলাকায় ছাত্রদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন করেছে, মাদক ও সন্ত্রাসী গ্রুপকে নিয়ন্ত্রন করত। যেখানে নিরপরাধ ছাত্রশিবির কর্মীদের কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ গ্রেপ্তার করে সেখানে সে নির্বিঘ্নে এত অপকর্ম করে গেছে আর কেউ কিছুই বলেনি এমনটি কেবল ভারসাম্যহীন চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এসব মিথ্যাচার কোন দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মধ্যে পড়েনা। এমন নিকৃষ্ট অভিযোগের ব্যপারে ছাত্রশিবিরের কারো বক্তব্য নেয়া হয়নি। যা চাতুরতারই অংশ। এসব সাংবাদিক নামধারীদের বুঝা উচিৎ, গণমাধ্যম থেকে জনগণ সত্য জানতে চায়।

নেতৃবৃন্দ সত্য প্রকাশের স্বার্থে এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।