মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৬

আওয়ামী অপরাজনীতির শিকার দেশের সংখ্যালঘুরা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, সারা বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। বহুকাল থেকে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অবৈধ সরকার। একের পর এক আওয়ামীলীগের অপরাজনীতির শিকার দেশের সংখ্যালঘুরা।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখার সদস্য শিক্ষাবৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি ডা. মুজাহীদুল ইসলামে পরিচলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রামু, বাঁশখালী, পাবনা ও বি.বাড়ীয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। আর প্রতিটি হামলার সাথে মন্ত্রী, এমপিসহ আ.লীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রামুতে আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, পাবনায় হামলাকারী আ.লীগ নেতাকে তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামসুল হক টুকুর সাথে দেখা গেছে। সম্প্রতি বি.বাড়ীয়ায় হিন্দুদের উপর হামলার সাথে আওয়ামী মন্ত্রীর উস্কানীর খবর দেশবাসী জেনেছে। হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আওয়ামী সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩ নেতাকে বহি:স্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সামান্যতম ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কোন কারণ ছাড়াই যখন তখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সেখানে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরও কেন অপরাধিদের বার বার ছাড় দেয়া হচ্ছে তা জাতির বুঝতে বাকী নেই। মূলত আ.লীগ সংখ্যালঘুদের বলির পাঠা বানিয়ে নিজেদের অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিল করতে চায়। নিজেদের ব্যর্থতা ও অসৎ উদ্দেশ্যে আড়াল করতে আ.লীগ কিছু নীতিহীন গণমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এসব ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশবাসী সজাগ এবং সচেতন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। সংখ্যালঘুরা এদেশের নাগরীক এবং অন্য সকল নাগরীকের মত রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের নিরাপত্তার বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং তা নিয়ে অপরাজনীতি কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। আমরা অবিলম্বে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জোড় দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে তিনি শিবির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান রেখে বলেন, অতীতে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে ছাত্রশিবির হিন্দু সম্প্রদায়েরে ধর্মীয় উপসনালয় পাহারা দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। প্রয়োজনে আবারো তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এসময় তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অপশক্তির ব্যপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান

সংশ্লিষ্ট