শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

মায়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ কর -ছাত্রশিবির

মায়ানমারে সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীদের কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এর প্রতিবাদে আগামী ২১.১১.১৬ ইং সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মায়ানমারে সেনাবাহীনি ও উগ্রবাদীরা নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানানেই। ন্যূনতম সভ্য ও মানবিক বোধ থাকলে কেউ এভাবে নিরীহ জনগণকে হত্যা করতে পারেনা। ইতিমধ্যেই সেনাবাহীনি ৬৯ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু, নিহতের সংখ্যা প্রকৃত পক্ষে অনেক বেশি। যাদের অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গত তিন দশক ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নিপিড়ণ চালাচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে লাখো রোহিঙ্গা। শান্তিতে নোবেল পাওয়া ব্যক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার দেশে এমন পরিকল্পিত গণহত্যায় বিশ্বাবাসী স্তম্ভিত ও ক্ষুব্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যেই এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্ব থেকে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অথচ এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ এই গণহত্যা বন্ধ ও তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেনি। একই সাথে ওআইসিও এগিয়ে আসেনি। যা গণহত্যাকে নিরব সমর্থনের শামিল। আর যাই হোক এ বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক।

আমরা অবিলম্বে মায়ানমারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা বন্ধ করে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ববাসীকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। আর মুসলিম বিশ্বের উচিৎ, যত দ্রুত সম্ভব মায়ানমারের মুসলিমদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনাঃ

মায়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ২১.১১.১৬ ইং সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কর্মসূচি ঘোষনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনা অপরাধে নির্বিচারে নিরপরাধ মুসলিমদের হত্যা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। কোন মুসলমান এই গণহত্যা মেনে নিতে পারেনা। নির্যাতিত নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা আগামী সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করছি। আমরা আশা করি, শুধু নেতাকর্মীরা নয় আপামর ছাত্রজনতা এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে গণহত্যার শিকার মুসলমানদের সমর্থন যোগাবেন।

 

সংশ্লিষ্ট