শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭

পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে নিকৃষ্ট অপপ্রচার করেছে কিছু সংবাদমাধ্যম

অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমস’এ পুলিশী অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা মারজানকে জড়িয়ে "শিবির নেতা থেকে জঙ্গি নেতা" শীর্ষক শিরোনামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, কোন সত্য তথ্য নয় বরং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে নিকৃষ্ট অপপ্রচার করেছে ঢাকা টাইমসসহ কিছু সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনে আজগুবি গল্প সাজিয়ে তথাকথিত পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গি মারজানের সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। বানোয়াট প্রতিবদেনে বলা হয়েছে নিহত মারজান শিবির নেতা ছিলেন। রাজধানীর কল্যাণপুরে, চট্টগ্রামে, মাদারীপুরে নিহত ও গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট নাম পরিচয় উল্লেখ না করে কাল্পনিক চবি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে মারজান বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়ান এবং সর্বোচ্চ সাথী পদে পৌঁছে যান। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। সে শিবির নেতা দূরে থাক সমর্থকও ছিলনা। অন্যদিকে সাথী পদ শিবিরের সর্বোচ্চ পদও নয়। কল্যাণপুরের ঘটনার সাথে নাম পরিচয়হীন ব্যক্তি ও মুদি দোকানদারের ধারণাকে পুঁজি করে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো হয়েছিল। অথচ কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানার বাড়ীর মালিক আফতাব উদ্দিন আহমেদ আ.লীগ নেতা এবং তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

অন্যদিকে মাদারীপুরে নিহত ফাইজুল্লাহর সাথে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচারের করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ফাইজুল্লাহকে হিজবুত তাহরীরের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেন। আর চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত রনির কাছে পাওয়া ’ইমাম মাহদির শত্রু মিত্র’ নামে একটি বইকে শিবিরের প্রকাশিত বই হিসেবে উল্লেখ করে তার সাথে ছাত্রশিবিরকে জড়ানো হয়েছিল। অথচ এ নামের কোন বই ছাত্রশিবিরের প্রকাশনায় কোন কালেই ছিলনা এবং এখনো নেই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনার ব্যপারে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সাথে এসব ঘটনার সাথে দূরতম কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে শিবিরের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা কোন গণমাধ্যম বা পুলিশ কর্মকর্তা করতে পারেনি। জঙ্গিবাদ একটি জাতীয় সমস্যা এবং স্পর্শকাতর বিষয়। মারজান নিহত হওয়ার পর কোন গণমাধ্যমই তার সাথে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে খবর প্রকাশ করেনি। কিন্তু ঢাকা টাইমস এর এই আগবাড়িয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার কার স্বার্থে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে এমন দায়িত্বহীন অপপ্রচার অনাকাঙ্ক্ষিত ও দু:খজনক।

নেতৃবৃন্দ সত্য প্রকাশের স্বার্থে এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।