সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

গণমাধ্যমে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

দৈনিক যুগান্তর, বিডিনিউজ, এনটিভি অনলাইনসহ কিছু গণমাধ্যমে ‘শিবিরের আস্তানায় নিরব হত্যার কৌশল’ উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, একটি বিশেষ মহলের নির্দেশনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে নিকৃষ্ট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজশাহীতে শিবিরের আস্তানা থেকে জিহাদী বই, সিডি ও নিরব হত্যার কৌশল নামক বইয়ের ফটোকপি পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং সাজানো নাটক। বাসাটি জামায়াতে ইসলামীর অস্থায়ী অফিস ছিল যা সরকারের জুলুম নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ আছে। সেখানে ছাত্রশিবিরের অফিস বা বাসা কোন কালেই ছিলনা। অন্যদিকে এনটিভি অনলাইন এটিকে শিবিরের আস্তানা বললেও গ্রেপ্তারকৃত দুই জনকে জামায়াত কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ স্ববিরোধী ও সাজানো মিথ্যাচারের সুস্পষ্ট প্রমাণ। কোন গণমাধ্যমই এ অভিযোগের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য কোন তথ্য দিতে পারেনি। মূলত ছাত্রশিবিরের ভাব মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করতে এবং অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে একটি পরিত্যাক্ত অফিসকে সামনে রেখে পুলিশ ও নীতিহীন কিছু গণমাধ্যম এই নাটক সাজিয়েছে।

আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, ছাত্রশিবিরের সিলেবাস ও কর্মসূচিসহ সকল কিছুই উন্মুক্ত, সেখানে 'নিরবে হত্যার কৌশল' নামে কোন বইয়ের অস্তিত্ব নাই। মুলত ইসলামী আন্দোলনকে বিতর্কিত করতেই পুলিশ পরিকল্পিতভাবে রহস্যজনক বই, হাত গ্রেনেড, ক্যালেন্ডার ও লিফলেট নিয়ে জাতির সামনে মিথ্যাচার করছে। এ নাটকের সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। জাতি বহুদিন যাবত দেখে আসছে সাংবাদিকতার লেবাস পড়ে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে কুৎসা রটনায় ব্যস্ত রয়েছে কিছু গণমাধ্যম। এই ঘৃণ্য অপচেষ্টা নিন্দনীয় ও অপ্রত্যাশিত।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কথায় কথায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার সাংবাদিকতার কোন নীতির মধ্যে পড়ে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এমন একটি ভয়াবহ অভিযোগের ব্যপারে ছাত্রশিবিরের কারো বক্তব্য নেয়া হয়নি। যা চাতুরতারই অংশ। গণমাধ্যমের এমন বিতর্কিত কর্মকান্ড সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাকে হেয় করছে। যা লজ্জাজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত

নেতৃবৃন্দ সত্য প্রকাশের স্বার্থে এবং সাংবাদিকতার পবিত্র পেশার মান রাখতে এ ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

সংশ্লিষ্ট