শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০১৭

গাজীপুর থেকে শিবির কর্মী গ্রেপ্তার ও জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গাজীপুর থেকে অন্যায় ভাবে শিবির কর্মী গ্রেপ্তার ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জঙ্গি মামলায় জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, জঙ্গি দমনের বদলে তা নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মিশনে নেমেছে পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ রাতে কোন কারণ ছাড়াই টঙ্গি থানার আউচপাড়া এলাকায় মেসে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তৌহিদুল ইসলামকে। গ্রেপ্তারকৃত তৌহিদুল ইসলাম তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র এবং শিবির কর্মী। কিন্তু পুলিশ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য গ্রেপ্তারকৃতকে জঙ্গি মামলায় জড়িয়ে রিমান্ডের আবেদন করে। পুলিশের এই দায়িত্বহীন কর্মকান্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। গ্রেপ্তারকৃত তৌহিদুল ইসলামের সাথে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। মূলত জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশবাসীর নানা প্রশ্ন থেকে নিজেদের আড়াল করতে এবং রাজনৈতিক ভাবে ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সরকারের ইশারায় এই ষড়যন্ত্র করেছে পুলিশ। এর আগেও সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সারাদেশে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে কিছু দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। যদিও শিবির কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগই সন্ধেহাতীত ভাবে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারপরও এই ধরনের নীতিহীন তৎপরতা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দেশবাসী মনে করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জঙ্গিবাদের মত স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে একের পর এক দায়িত্বহীন ও প্রশ্নবোধক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে পুলিশ। আর সেই নীতিহীন কর্মকান্ডের নির্মম বলি হচ্ছে নিরপরাধ সাধারণ ছাত্ররা। যার আরেকটি প্রতিফলন এই গ্রেপ্তার ও মিথ্যাচার। আমরা অবিলম্বে এই সাজানো মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত শিবির কর্মী তৌহিদুল ইসলামের মুক্তি দাবী করছি। একই সাথে জঙ্গিবাদকে অপরাজনীতির হাতিয়ার বানানোর ঘৃন্য কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট