স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে ১৪ ছাত্র সংগঠন বিবৃতি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে ১৪টি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতি প্রদানকারী ছাত্র নেতৃবৃন্দরা হচ্ছেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি- মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি- মুহাম্মদ আজিজুল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি- ইলিয়াস আতহারী, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি- ডা.মামুনুল হাসিব ভূইয়া, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি- সাইফুল আলম, মুসলিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি- এস এইচ খান আসাদ, ছাত্রকল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি- মু. ওমর ফারুক, ছাত্র মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি- কামরুল ইসলাম সুরুজ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি- শাওন সাদেকী, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি- নাসির উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি- আবু সাঈদ ফারুক, জাতীয় ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি- আবদুল্লাহ আল মাসুদ, জাতীয় ছাত্রপার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি- সোহেল রানা এবং ডেমোক্রেটিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি- আবুল হাশেম মাসুদ।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৭ এপ্রিল ভারত সফর যাচ্ছেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকর, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর এবং সবশেষে ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এসব সফর এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে নানা জল্পনা কল্পনার সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে উভয় দেশের গণমাধ্যমে কথা উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এসব স্পর্শকাতর চুক্তির বিষয় নিয়ে জাতিকে স্পষ্ট করে কিছুই বলছে না। ফলে সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মাঝে উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে। এই চুক্তি দেশ বিরোধী উল্লেখ করে তা থেকে বিরত থাকতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সমরবিদ, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একক ও যৌথ ভাবে আহবান জানিয়েছেন। সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় এই চুক্তিটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ করবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলবে। একই সাথে এই ধরণের কোন চুক্তি হলে বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদের চারণ ভূমিতে পরিণত হবে বলে দেশবাসী মনে করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান রেখে বলতে চাই, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস গৌরবের ও মর্যাদার। আমাদের সামরিক বাহিনীর সাহসিকতা ও বীরত্বগাথা সারা বিশ্বময়। কিন্তু এ চুক্তি স্বাধীন দেশ ও গৌরবোজ্জ্বল সামরিক বাহিনীর জন্য অবমাননাকর বলে দেশবাসী মনে করে। আমরা ভারতসহ সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ককে স্বাগত জানাই। কিন্তু রক্তে কেনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে কোন চুক্তি বা সমঝোতা জাতি মেনে নিবে না। সুতরাং নতজানু নীতি পরিহার করুন। দেশের মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত নিলে তা বুমেরাং হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, প্রতিরক্ষা চুক্তির নামে কোন গোলামীর চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক এদেশের ছাত্র জনতা মেনে নিবে না।
আমরা দেশ ও জাতির স্বার্থে এ চুক্তি থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট
- শিক্ষকের গুলিতে শিক্ষার্থী আহতের প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি
- প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা লুৎফর রহমান (রহ.)-এর ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোক প্রকাশ
- কারারুদ্ধ মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের সহধর্মিনীর ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের শোক প্রকাশ
- রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের শোক প্রকাশ
- বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি
- মধুখালীতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
- হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে- ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সভাপতি
- খেলাফত ছাত্র মজলিসের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ছাত্রশিবিরের অভিনন্দন
- ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে ছাত্রশিবিরের অভিনন্দন
- পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতির শুভেচ্ছা বাণী | মঞ্জুরুল ইসলাম