রবিবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

সিলেটে অন্যায় ভাবে ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে অন্যায় ভাবে ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও তাদেরকে জড়িয়ে পুলিশের বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারী জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, পুলিশ জনগনের নিরাপত্তা নয় বরং নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার ও কল্পকাহিনী রটনা করাই তাদের প্রধান কাজ হিসেবে নিয়েছে। গতকাল কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রশিবির সিলেট জেলা পশ্চিম সভাপতিসহ ৭ নেতাকর্মীকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে তাদের কাছে জিহাদী বই পাওয়া গেছে এবং তারা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনা করছিল। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং পুলিশ কর্মকর্তার দলীয় মনোভাবের বিকৃত আবিস্কার। বৈশাখী অনুষ্ঠানে হামলার কল্পকাহিনী পুলিশের নিজস্ব প্রযোজিত নাটক ছাড়া কিছু না। এর সাথে শিবির নেতাকর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। আইনের লেবাসে পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘৃন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করার ভাষা আমাদের জানা নাই। দীর্ঘ পথ চলায় পহেলা বৈশাখ বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরে সামান্যতম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নজিরও কেউ দেখাতে পারবে না। এই ভারসাম্যহীন মিথ্যাচারে প্রমাণ হয় এই অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের পথ করে দিতেই শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের প্রতি পুলিশের ওয়াদা বা নিজ দায়িত্বের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে পুলিশ কর্মকর্তা এই জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারতেন না। কিছু পুলিশ কর্মকর্তার নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। পুলিশের পবিত্র প্রতিচ্ছবিকে বিকৃত রুপ দিয়েছেন তারাই। আমরা বলব, আপনাদের এসব মিথ্যাচারের সাথে জনগণ পরিচিত। দেশের মানুষ এসব সাজানো গল্প বিশ্বাস করে না। বরং পুলিশের প্রতি আস্থা হীনতায় নতুন মাত্রা পাবে। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে পুলিশ কর্মকর্তারা নিজ দায়ীত্ব ও কর্তব্যবোধের প্রতি খেয়াল রেখে কথা বলবেন।

সংশ্লিষ্ট