সোমবার, ২৯ মে ২০১৭

পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ও সমাজ জীবন গঠনে আল কুরআনের শিক্ষার বিকল্প নেই

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, আল কুরআন মহা বিশ্বের এক মহা বিস্ময়। পথভ্রষ্ট মানব জাতির পথ নির্দেশনা হিসেবে আজ থেকে প্রায় পনের শত বছর পূর্বে পবিত্র রমযান মাসে এ মহা গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়। এ গ্রন্থ দিয়েই বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মদিনা কেন্দ্রিক ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের সৌধের উপর এক সোনলী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কুরআনের শিক্ষার মাধ্যমে জাহেলী সমাজের মানুষদেরকে পরিশুদ্ধ করে পৃথিবীর সর্বোশ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত করেছেন। পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ও সমাজ জীবন গঠনে আল কুরআনের শিক্ষার বিকল্প নেই।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে মেধাবী ছাত্রদের মাঝে কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মোঃ শফিউল আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক শাহ মোঃ মাহফুজুল হক।

শিবির সভাপতি বলেন, মাহে রমযান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাস কোরআনের শিক্ষা লাভ ও তার বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু আফসোস এজন্য যে, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম দেশ হয়েও তার কোন প্রতিফলন নেই। উল্টো কোরআন বিরোধী কাজে অবাধ সুযোগ রয়েছে এদেশে। শুধুমাত্র কোরআনের পথে চলার কারণে বিশ্ব নন্দিত ইসলামী ব্যক্তিত্বসহ ছাত্রজনতাকে জীবন দিতে হয়েছে। এখনো কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অনেককে। অন্যদিকে ইসলাম বিরোধী কাজ চলছে পুরোদমে। প্রায়শই কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটছে। যার কোন সুষ্ঠ বিচার হচ্ছে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সামনে নারী মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মূর্তি ইসলাম প্রিয় জনতার তীব্র বিরোধীতার মুখে সম্প্রতি উঠিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরই বর্ধিত ভবনের (এনএক্স ভবন) সামনে পুন:স্থাপন করা হয়েছে। যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাথে চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। তাছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্যের নামে অসংখ্য মূর্তি রয়েছে যার অনেকাংশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ। যা এদেশের মানুষের চিন্তা চেতনার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা অবিলম্বে দেশের সকল মূর্তি অপসারণের দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে আল্লামা সাঈদীসহ কুরআন প্রেমিক ছাত্রজনতাকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

তিনি সমবেত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, কুরআন সবসময় আধুনিক এবং সব ক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য। কাজেই কুরআনের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করতে হবে। মানুষের ব্যাক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব সমস্যার সমাধান একমাত্র কুরআনই দিতে পারে। মানুষ যখন আঁধারে পথ হারায়, অন্যায়-অবিচারে জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে, তখন কুরআন সম্ভাবনার আলো হয়ে জাতিকে নিরাপত্তার শিখরে পৌছে দেয়। তাই সফল জীবন গড়তে কুরআনের আলোকে সার্বিক জীবন পরিচালনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঘরে ঘরে কুরআন বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রত্যেক জনশক্তি কমপক্ষে একটি করে কুরআন বিতরণ ও একজনকে কুরআন শিক্ষা দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট