মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭

নড়াইল ও যশোরে শিবির নেতাকে বারবার গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ছাত্রশিবির নড়াইল জেলার সাবেক সভাপতি খাঁন আব্দুস সোবহানকে জেলগেট থেকে ৩য় বারের মতো গ্রেপ্তার ও মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জড়ানো এবং যশোরে গ্রেপ্তারকৃত তিন শিবির নেতাকে অন্যায় ভাবে রিমান্ডে নেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও পুলিশের অমানবিক আচরণ থেমে নেই। ছাত্রশিবির নড়াইল জেলার সাবেক সভাপতি খাঁন আব্দুল সোবহানকে গত ২০১৫ সালের ১২ই জুলাই অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস কারাগারে থাকার পর আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পেয়ে বের হওয়ার সময় কারাফটক থেকে তাকে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আইনি প্রক্রিয়া মুক্তি পাওয়ার পর গত ৪ই জুন বের হওয়ার সময় আবারো পুলিশ কারা ফটক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ও মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠায়। সাবেক এই শিবির নেতা নিরপরাধ হলেও পুলিশ এখানে জঘন্যতম নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করেছে। কারাগারে থাকা কালে একজন মানুষেরর কাছে কিভাবে অস্ত্র থাকতে পারে তা নূন্যতম বিবেকবান মানুষেরও বোধগম্য নয়। একজন নিরপরাধ ছাত্রনেতার উপর পুলিশের এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র ও নির্যাতন রাষ্ট্রের আইনের শাসনের চরম বিপর্যস্ত অবস্থারই পরিচয় বহন করে।

অন্যদিকে যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ গত ১ই জুন ছাত্রশিবির যশোর জেলা সভাপতি রাফিদ হাসান, শিবির কর্মী আবুল কাসেম ও তরিকুল ইসলামকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তারের পর ৫ দিন আটক রেখে জঘন্য মিথ্যাচার ও অস্ত্র উদ্ধার নাটক সাজিয়ে তাদের আদালতে হাজির করে। আজ আবার তাদেরকে নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে ২ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। যেখানে গ্রেপ্তারের পর ৫ দিন আটক রেখে এবং মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে সেখানে নিরপরাধ শিবির নেতাদের রিমান্ডে আনা জিঘাংসার চরম বহি:প্রকাশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুলিশ তাদের পেশা ও পোষাকের প্রতি নূন্যতম দায়িত্ববোধ দেখাতেও ব্যর্থ হচ্ছে। নিরাপরাধ ছাত্রজনতাকে বার বার গ্রেপ্তার ও তাদের নিয়ে নাটক সাজানো এবং ইচ্ছামত মামলায় জড়িয়ে দেয়ার এই বেআইনি কর্ম পুলিশ তাদের রুটিনে পরিণত করেছে। এসব নীতিহীন কর্মকান্ড জনগণের কাছে পুলিশের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পুলিশ অনেকাংশে দলীয় কর্মীর চাইতেও নিকৃষ্ট আচরণ করছে। যা একটি সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা অবিলম্বে নিরপরাধ শিবির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট