বুধবার, ১৪ জুন ২০১৭

বদর যুদ্ধের চেতনায় ইসলামের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, বাতিল শক্তির কালো থাবা থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে বদরের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। বদর যুদ্ধের চেতনায় ইসলামের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে বদর যুদ্ধ এক ঐতিহাসিক স্থান দখল করে আছে। এ যুদ্ধ ছিল সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী এবং ইতিহাস নির্ধারণকারী যুদ্ধ। আরব সমাজ কি আগামী দিনে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় সমাবেত হবে না জাহিলিয়াতের অন্ধকারচ্ছন্ন পথে হাটবে তার ফয়সালা হয় বদরের প্রান্তরে। সেদিন মক্কার কাফেরেরা ইসলামকে দুনিয়ার বুক থেকে চিরতরে মিটিয়ে দেয়ার মানসে সর্বশক্তি নিয়ে বদরের প্রান্তরে সমাবেত হয়। অপরদিকে মুসলমানদের ৩১৩ জনের ক্ষুদ্র এক বাহিনী আল্লাহর উপর অবিচল বিশ্বাস, অসীম সাহস ও মিথ্যার কাছে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বাতিল শক্তির মোকাবেলায় এগিয়ে যায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বদরের প্রান্তরে বাতিল শক্তির দর্প চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন। জয় হয় সত্য ও শাশ্বত কল্যাণের। কিন্তু, সত্য মিথ্যার সংঘাত এখনো শেষ হয়ে যায় নি। আবু লাহাব, উতবা, শায়বাদের প্রেতাত্মারা ইসলামের বিরুদ্ধে আজো সমানভাবে সক্রিয়। সেদিনের আইয়্যামে জাহেলিয়াত আজ নব্য জাহিলিয়াতের রুপ ধারণ করেছে। সমগ্র বিশ্বব্যাপী ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে মুসলিম বিশ্ব আজ জর্জরিত।

তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধ শক্তি নয় বরং আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা রেখে বাতিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ার প্রেরণা যোগায়। এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সব কিছুর জন্য সবার উপরে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করতে হবে। এই যুদ্ধ প্রমান করে সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কমবেশী বিজয়ের মাপকাঠি নয়, বরং আল্লাহর উপরে দৃঢ় ঈমান ও তাওয়াক্কুল হল বিজয়ের মূল হাতিয়ার। এই যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে জাগতিক সকল প্রস্ততির পরেও সাফল্যের জন্য র্নিভর করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ’র ওপর। তবেই মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং বিজয়লাভ বা সফল হওয়া সম্ভব হবে। তাই নব্য জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বদর যুদ্ধের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে মাহে রমজানকে নিজেকে গঠনের জন্য সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট