মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি

ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলা, ভাংচুরের প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতি সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের অনৈতিক মদদের কারণেই চবি’তে আবারো তান্ডবলীলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। গতকাল রাতে তারা নিজেদের মধ্যে গুলাগুলি করেছে। এসময় পুলিশ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত হলে অভিযান চালিয়ে কাটারাইফেলসহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। আজ আবারো তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে তান্ডব চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর, সময় টেলিভিশনের গাড়ীসহ ১৩টি গাড়ী ভাংচুর করে। শাটল ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত করে। ৩ জন প্রক্টরের সামনেই তারা কলা অনুষদের ডিনের রুম ভাংচুর করে। হামলার পর ক্ষোভ জানিয়ে কলা অনুষদের ডীন সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ২৩ বছরের ইতিহাসে তিনি ক্যাম্পাসে এমন তান্ডবলীলা দেখেননি। অথচ এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা পুলিশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চবি’তে নিজেদের মধ্যে শতাধিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে বার বার ছাত্রলীগ নিজেদের, প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রদেরকেও রক্তাক্ত হতে হয়েছে। বহুবার ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। আজও অবরোধের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে। এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্য উল্লাস করেছিল ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্র খুন এবং সম্মানিত শিক্ষকদের মারধর ও লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্পাস গুলোকে অবৈধ অস্ত্রের মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে। অথচ আজ পর্যন্ত কোনটিরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। ছাত্রলীগের প্রতি এই অব্যাহত অনৈতিক মদদই তাদের বার বার তান্ডবলীলায় উৎসাহ যোগাচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু চবি নয় বরং সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিন্ষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকরা লাঞ্চিত অপমানিত হচ্ছে। এভাবে বার বার শিক্ষকরা আক্রান্ত হবে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে তা মেনে নেয়া যায়না। আমরা অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিচার দাবী করছি। একই সাথে শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণেরও জন্য দাবী জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার নিরসনের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট