সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ ১১নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং তাদের মুক্তির দাবীতে  বিবৃতি

অন্যায় ভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১১নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করছে সরকার। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবৈধ সরকারের জুলুম নিপীড়ন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশ থেকে ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকেও গ্রেপ্তার করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। যার সর্বশেষ নজীর দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের ১১নেতাকে আজ রাজশাহী শহরের একটি ঘরোয়া সাংগঠনিক বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার করা। একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দলের বয়োবৃদ্ধ প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এমন গ্রেপ্তার এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অপরাজনীতির উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই অমানবিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণ করে অবৈধ সরকার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহমর্মিতার সব পথকে রুদ্ধ করে রাজনৈতিক দেওলিয়াত্বের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাধারণ মানুষ আজ সরকার দলীয় লোক ও পুলিশ বাহীনি থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। দুর্নীতি,ধর্ষণ,টেন্ডারবাজী,চাঁদাবাজি নিত্য-নৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। সরকার সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সাধারণ জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ধাবিত করতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপর বাকশালী কায়দায় দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের ইসলামী আন্দোলন নির্মূল করার এই ঘৃন্য ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগ রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী তার দলীয় কর্মসূচী পরিচালনায় দেশের আইন, সংবিধান ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশের প্রতিটি সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব ছিল। এমন একটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারাকে ব্যাহত করার শামিল। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতা রয়েছে। যারা নিরপরাধ ও দেশের পরিচ্ছন্ন জনপ্রিয় নেতৃত্বের প্রতিক। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সরকার চরম অন্যায় করেছে। আমরা আশা করি সরকারের বোধদয় হবে এবং অবিলম্বে নেতৃবৃন্দকে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে সহিষ্ণুতা বজায় রাখবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সংশ্লিষ্ট