শনিবার, ১৯ মে ২০১৮

ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে মাহে রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে-শিবির সভাপতি

কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের নিয়ে কুরআন স্টাডি ক্লাস ও ইফতার মাহফিল

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, মাহে রমযান মুমিনদের আত্মগঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য এক অনন্য সেরা মাস। এই মাসে নাজিল হয়েছে আল-কোরআন, যা মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক। এ মাসের একটি ফরজ ইবাদাত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ ইবাদাতের সমান। রমজান মাস আমাদের জন্যে বাৎসরিক প্রশিক্ষণের মাস। তাই ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে মাহে রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের নিয়ে স্টাডি ক্লাস ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্টাডি ক্লাস পরিচালনা করেন সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম। এসময় সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক শাহ মাহফুজুল হকসহ সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শিবির সভাপতি বলেন, মানুষের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টির জন্যই আল্লাহ আমাদের উপর রোজাকে ফরজ করে দিয়েছেন। শুধুমাত্র পাহানার পরিত্যাগের মাধ্যমে রোজা থেকে প্রকৃত কল্যাণ লাভ করা সম্ভব নয়। সকল প্রকার পাপাচার, অনাচার থেকে ম্ক্তু থেকে জীবনের সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে তার একনিষ্ঠ আনুগত্যের মাধ্যমেই রোজা থেকে প্রকৃত কল্যাণ লাভ করা সম্ভব। এই মাস কোরআনের শিক্ষা লাভ ও তার বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমান ও আত্বসমালোচনার সাথে সাওম পালন করবে আল্লাহ তায়ালা তার বিগত দিনের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন’। আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু জীবনের সব গুনাহ মাফ করে নিতে পারল না তার জন্য ধ্বংস (বুখারী ও মুসলিম)। সুতরাং দুনিয়া ও আখেরাতের সফল জীবন বিনির্মাণের সৌভাগ্যের সোপান হিসেবে মাহে রমজানকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। কোন ভাবেই যেন আমরা হাদিসে বর্ণিত দূর্ভাগা ব্যক্তিদের কাতারে চলে না যাই সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হতে হলে রমজানের শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করতে হবে। সারা বছর দ্বীনের পথে অটল থেকে জীবন পরিচালনা করতে মাহে রমজানকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করে রোজার সকল হুকুম আহকাম সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনের ভূল ত্রুটি শুধরে নিয়ে আত্বশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। বেশি বেশি আমলের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। কোরআন না জানা মানুষকে কোরআন শেখানোর জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে কোরআনের আলোকে জীবন গঠনের সুফলতা ও কল্যাণ সম্পর্কে জানাতে হবে। তিনি রমজানের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে এ থেকে কল্যাণ লাভ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।