মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যোগ্যতা সম্পন্ন আগামী প্রজন্ম গড়তে দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে-শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক পরিবেশে নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতার ভিত্তিতে যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তোলা দূরহ ব্যাপার। কারণ দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত স্বয়ং রাষ্ট্রীয় শক্তি। যুগের পর যুগ ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। তাই ছাত্রদেরকে যোগ্যতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আজ লক্ষ্মীপুুরের এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির লক্ষ্মীপুর শহর শাখার দায়িত্বশীল শিক্ষাবৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শহর সভাপতি আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শাহরিয়ার রহমানের পরিচালনায় দায়িত্বশীল শিক্ষাবৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, নোয়াখালী শহর সভাপতি জাকির হোসেন, জামায়াতের লক্ষ্মীপুর জেলা সেক্রেটারি ও সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা মফিজুল ইসলাম ও লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল করিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

শিবির সভাপতি বলেন, এদেশের ছাত্রসমাজ ঈর্ষণীয় মেধাবী। শুধু দেশে নয় বিদেশের মাটিতেও এদেশের মেধাবীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তাদের পৃষ্টপোষকতা না দিয়ে উল্টো ধ্বংস করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রাষ্ট্রীয় শক্তিসহ দেশ বিদেশের ষড়যন্ত্রকারীরা। লজ্জাজনক ভাবে শিক্ষাকে অপরাজনীতির হাতিয়ার বানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে শিক্ষার সর্বস্তরে প্রশ্নপত্র ফাঁস, চোখ বুজে বেশি নাম্বার দেয়ার নির্দেশনা মেধাবীদের চরম ভাবে হতাশাগ্রস্থ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অজুহাতে মেধাবীদের ভর্তির সুযোগ না দিয়ে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের ছাত্রসংগঠনের সিমাহীন নিপীড়ণে ছাত্র-শিক্ষক সবাই অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। একই ভাবে চলছে অপসংস্কৃতি ও মাদকের জোয়ার। সম্প্রতি ন্যায্য দাবী আদায় করতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছে সরকার। পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। শুধু তা’ই নয় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি ও ধ্বংস করার প্রতিটি অপতৎপরতায় রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। ফলে লাখো সম্ভাবনাময় মেধাবীর ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চয়তায় ঢেকে গেছে। কিন্তু বাতিলের জাতি বিনাশী অপতৎপরতা আমরা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দিতে পারিনা। যার যার অবস্থান থেকে এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং আগামী প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি, মাদক ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখতে হবে।

তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জাতি বিনাশী অপতৎপরতার উপকরণ ও ধরণ পাল্টাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পথ চলতে হবে। আজ প্রমাণ হয়েছে আগামী প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তোলা ও ধ্বংসের হাত থেকে বাচানোর একমাত্র রক্ষা কবজ ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনা করা। তাই প্রতিটি দায়িত্বশীলকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মানষিকতা নিয়ে ময়দানে থাকতে হবে। যত বাধাই আসুক না কেন প্রতিটি ছাত্রের কাছে ইসলামের আহবান পৌছাতে হবে। মনে রাখতে হবে কাঙ্খিত যোগ্য নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে আমরা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।